নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি(BJP) বাংলাকে ঠিক কত ভাগে ভাগ করতে চায়? প্রশ্নটা আবারও ফিরে এল বিজেপিরই এক বিধায়কের নয়া দাবির হাত ধরে। গোর্খাদের চাই পৃথক গোর্খাল্যান্ড, রাজবংশীদের চাই পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য, কামতাপুরীদের চাই পৃথক কামতাপুর রাজ্য, বিজেপি বিধায়কদের চাই পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য, সৌমিত্র(Soumitra Khan) খাঁয়ের চাই পৃথক জঙ্গলমহল(Junglemahal) রাজ্য, একই সঙ্গে এবার পৃথক রাঢ়বঙ্গ(Rarh Bangla) রাজ্য চেয়ে বসলেন বিজেপিরই বিধায়ক অমরনাথ শাখা(Amarnath Sakha)। আর এই সব দাবিকে কার্যত সমর্থন করেই চলেছে বিজেপি। কেননা এই সব দাবি যে সব বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদেরা তুলে চলেছেন তাঁদের কারোর বিরুদ্ধেই গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। নিত্যদিনই মুখ খুলছেন তাঁরা। সেই তালিকাতেই এদিন নয়া সংযোজন করেছেন অমরনাথ।
আরও পড়ুন বুধবার বাংলার নয়া রাজ্যপালের শপথ
‘আবকে বার ২০০ পার’ শ্লোগান তুলে যারা বাংলা দখল নিতে এসেছিল তাঁরাই এখন বাংলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করছেন। অমরনাথের দাবি সেই পরিকল্পনারই অংশ। বাংলার মানুষ এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত হতে দেবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। যারা নিত্যদিন বাংলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের হাত বঙ্গবাসী আগামী দিনে কতটা শক্ত করবেন তা নিয়েও যথেষ্ট খটকা আছে। বার বার বাবংলা ভাগের দাবি তুলে বিজেপির সাংসদ থেকে বিধায়ক, নেতা থেকে কর্মীরা, কে কতটা দলকে ফায়দা তুলে দেবেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই সব সাংসদ বিধায়কেরা বাংলা ভাগের দাবি তোলা না বন্ধ করছেন, না গেরুয়া শিবিরের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কতটা বাংলা ও বাঙালি বিরোধী সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছেন এই সব সাংসদ ও বিধায়কেরা। এই সব দাবিদাওয়ার জেরে আগামী দিনে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে কতখানি লাভবান হবে এই রাজ্যের রাজনীতিতে, নাকি বানের জলে ভেসে যাবে সেটাও দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে বাঙালি।
আরও পড়ুন ২০০ পরিবারের হাতে বুধবার পাট্টা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
ঠিক কী বলেছেন অমরনাথ? শনিবার বাঁকুড়ার মুড়াকাটায় জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। তাতে উপস্থিত ছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবিতে সরব হন তিনি। বলেন, ‘পঞ্চায়েতের ঘণ্টা বেজে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের পর পরিবর্তন আসবেই। আমরা রাঢ়বঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ভাল ফল করলে অমিত শাহের কাছে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি জানাব। তাই আপনারা সকলে ভোট দিন।’ অমরনাথের এই দাবি নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে অমরনাথের এহেন দাবিকে তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ‘পাগল প্রলাপ’ বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, কোনও ইস্যুতে বলার সুযোগ না পেয়ে এসব বলেছেন বিজেপি বিধায়ক। বাংলায় বিজেপির থাকার অধিকার আছে কিনা, তা সাধারণ মানুষ স্থির করবে।