নিজস্ব প্রতিনিধি: সিএএ (CAA) লাগু হবে, এই কথা বলেই রাজ্য তথা দেশে উত্তেজনা তৈরি করেছিল বিজেপি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিজেপি ও এনডিএ জোট বিরোধী সব দলই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়েছিলেন সিএএ লাগু হতে দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার। রাজ্যে আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও বেশ কিছু সিট বিজেপির দখলে। বঙ্গ বিজেপি রাজ্য জুড়ে সিএএ রব তুলে ছড়িয়েছিল উত্তেজনা। তবে লাগু আর হয়নি সিএএ। কবে হবে? অমিত সফরে বঙ্গ বিজেপি নেতারা সেই প্রশ্নই তুললেন। অমিত (Amit Shah) জানালেন, করোনা নিশ্চিহ্ন হলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা (Corona) নিশ্চিহ্ন হচ্ছে না এখনই। কোভিড- ১৯ কে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। অমিতের পাল্টা অবশ্য দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, সিএএ লাগু হতে দেওয়া যাবে না।
এদিন অমিত বলেন, তৃণমূল ও তাদের সরকার সিএএ-র বিরোধিতা করছে। তবে তা লাগু হবেই। করোনার দাপট কমলেই এই আইন লাগু হবে বলে জানান শাহ্। বলেন, ‘আমাদের ভাইদের নাগরিকত্ব দেব’। তাঁর হুমকি, মমতা দি আপনি কিছুই কতে পারবেন না। সিএএ ছিল- আছে- থাকবে। তাঁর অভিযোগ, সিএএ চায় না তৃণমূল, তাহলে রাজ্যে অনুপ্রবেশ জারি থাকবে! এরপরেই বলেন, তৃণমূলের লোকেরা কান খুলে শুনে রাখুন সিএএ লাগু হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সিএএ কবে তা জানতে চেয়ে অমিত শাহ্কে তাঁর সফরের আগে চিঠি দিয়েছিলেন ৯ মতুয়া বিধায়ক। আবার হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক (MLA) অসীম সরকার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কবে রাজ্যে লাগু হবে সিএএ। নাহলে দল্মত ভুলে মতুয়া সম্প্রদায়ের সকলে পথে নামার হুমকিও দিয়েছিলেন বিধায়ক। কেন্দ্র সিএএ লাগু করতে পারেনি বলে কটাক্ষ করেছিলেন অসীম। তাতে অস্বস্তি বেড়েছিল বিজেপি শিবিরে।
৫ মে সফরে এসে অমিত জানান, সিএএ লাগু হবে করোনা নিশ্চিহ্ন হলে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা এখনই নিশ্চিহ্ন হওয়ার প্রশ্ন নেই। ভ্যারিয়েন্ট বদলাতে থাকবে। আবার করোনার দাপট বাড়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাঁচতে হবে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই। তার মানে সিএএ লাগু হচ্ছে না এখন। কারণ, থাকছে করোনা। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জবাব, সিএএ লাগু হতে দেওয়া যাবে না আপামর জনগণের স্বার্থেই। সমস্ত বিরোধীদলের বক্তব্যও এক।