নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। আজ ১৫ আগস্ট। আর এদিন সকালেই একটা ছোটখাটো ভূমিকম্প করে দিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর(Netaji Subhash Chandra Basu) কন্যা অনিতা বসু পাফ(Anita Basu Puff)। বিস্ফোরক দাবি তাঁর। তিনি দেশের মোদি সরকারের কাছে দাবি রেখেছেন, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে(Renkoji Temple) নেতাজির চিতাভষ্ম বলে যা সংরক্ষণ করা হচ্ছে তা আদৌ নেতাজির কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে সেই চিতাভষ্ম ফিরিয়ে আনা হোক ভারতে। তারপর তার ডিএনএ টেস্ট করা হোক। তিনি নিজে ডিএনএ টেস্টে সামিল হবেন। তারজন্য প্রয়োজনে জার্মানী থেকে ভারতে আসতেও রাজি আছেন তিনি। কেননা এখনকার উন্নতধরনের প্রযুক্তি এই ধরনের ডিএনএ টেস্ট খুব ভাল ভাবেই করতে পারে। তাঁর শরীরে যেহেতু নেতাজির রক্ত আছে তাই তাঁর ডিএনএ’র সঙ্গে সেই চিতাভষ্মের ডিএনএ মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে আদৌ সেই চিতাভষ্ম নেতাজি নাকি অন্য কারও। যদিও ভারত সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপান(Japan) থেকেই কার্যত নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সময় জাপানের এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট ফরমোসায় এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন নেতাজি। তাঁর দেহ জাপানেই সৎকার করা হয়। তারপর সেই চিতাভষ্ম সংরক্ষণ করা হয় টোকিয়োর(Tokiyo) রেনকোজিতে একটি মন্দিরে। যদিও নেতাজির এই দুর্ঘটনা ও অন্তর্ধান নিয়ে বিস্তর সন্দেহ, প্রশ্ন ও তর্ক রয়েছে। জাপান সরকারের কাছে সরকারি ভাবে যেমন এই নিয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য নেই তেমনি ভারত সরকারও(India Government) নেতাজির মৃত্যুর দিনকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি। তিনি আদৌ সেদিন ওই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কিনা তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে।
এই আবহে নেতাজি কন্যা অনিতার দাবি, ‘যাঁরা এখনও সন্দেহ করছেন যে নেতাজির মৃত্যু ১৮ অগস্ট ১৯৪৫ সালে হয়েছে কিনা, তাঁদের কাছে প্রমাণ তুলে ধরার এটা একটা সুযোগ, যে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে তাঁর চিতাভষ্ম রয়েছে নাকি অন্য কারোর। ভারত সরকারের উচিত এই বিষয়ে জাপান সরকারকে অনুরোধ করা যাতে ওই চিতাভষ্ম ভারত সরকারের হাতে তাঁরা তুলে দেন। তারপর তা ভারতে ফিরিয়ে এনে তার ডিএনএ টেস্ট করা হোক। আমি এই টেস্টের জন্য রাজি আছি। প্রয়োজনে ভারতে যাব। রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত ও জাপানের সরকারও এমন টেস্টের জন্য রাজি। শুধু ভারত সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগী হলেই হবে। আমার বাবার কাছে দেশের স্বাধীনতার থেকে বড় কিছু ছিল না। তাঁর ভারতে থাকার চেয়েও তা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যখন দেশের স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা পেলেন না, অন্তত তাঁর চিতাভষ্ম ভারতের মাটিতে আসা উচিত।’