নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গরু পাচার মামলায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহারে জেলবন্দি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে কেষ্টর কালীপুজোর দায়িত্বভার তুলে নেন জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। বোলপুরে নিচু পট্টির বাড়িপুকুরের কালীপুজো এলাকায় ‘কেষ্ট কালী’ নামে পরিচিত অর্জন করেছে। ২০০০ সাল থেকে বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে কালীপুজো শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল নিজে হাতে। গত বছরের মত নিচুপট্টি এলাকার এ বছরও ৪৫ ফুটের কালী প্রতিমা তৈরি হয়েছে। এ বারে তাঁর কালীপুজো ৫৬তম বর্ষে পদার্পণ করল।
তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন,’ প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তবে মায়ের গায়ে সেই রকম বিপুল অলঙ্কার এ বার পরানো হবে না। ‘ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কালীপুজোর দিন অনুব্রত মা কালীকে অঙ্গ ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। শোনা যায়, ওই গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ছিল আড়াই কোটি টাকার উপরে। তা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা।
তবে তাতে কর্ণপাত করেননি কেষ্ট। পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উন্মাদনাও থাকত চরমে। পুজোর দিন চারেক আগে ব্যস্ততায় নাওয়া-খাওয়া ভুলতেন । বিপুল অলঙ্কারে সজ্জিত প্রতিমা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতেন বীরভূমে। বস্তুত, কালীপুজোর দিন ‘অন্য রূপে’ দেখা যেত তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। তবে সেই কালীপূজো এখন অনেকটাই ফিকে হয়েছে। আগের মত নেই আর কোন জাঁক জমক।