এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শঙ্কর কী তৃণমূলে আসতে চান! প্রশ্ন তুলে দিল সৌজন্যতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ থাকে। হানাহানি, সংঘর্ষও থাকে। বাংলার বুকে শাসকদল রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ দেখালেও বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপির আচরণে তা ছিঁটেফোটাও চোখে পড়ে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই সৌজন্যবোধটাই ধরা পড়ল বিজেপির এক বিধায়কের আচরণে। যা শুধু বিস্ময়ের সৃষ্টিই করেনি, প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই প্রশ্ন অবশ্যই দল বদলের। গত সোমবার প্রকাশিত হয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনী ফলাফল। সেখানে এই প্রথমবার একক ক্ষমতায় বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় এই শহরে এবারে যে সবুজ ঝড় উঠেছে তাতে শুধু বাম-কংগ্রেস শিবির ধাক্কা খেয়েছে তাই নয়, ধাক্কা খেয়েছে বিজেপিও। সেখানে হারের মুখ দেখেছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক তথা তাঁদের মেয়র পদপ্রার্থী শঙ্কর ঘোষও। নিজের ওয়ার্ডে তিনি শুধু হেরেছেন তাই নয়, তৃতীয় হয়েছেন। অথচ এদিন সকালে তাঁকেই দেখা গেল ওই ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে। কার্যত এই ঘটনাই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শঙ্কর কী সত্যিই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছেন নাকি তৃণমূলে আসার রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়েছেন! 

উনিশের লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ির বাসিন্দারা দুই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে। একুশের ভোটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই কারনে বিজেপির তরফে আশা করা হয়েছিল এবারে হয়তো সেখানে বোর্ড গড়বে গেরুয়া ব্রিগেডই। কার্যত শিলিগুড়ির দলীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবেই তুলে ধরে প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু শিলিগুড়িতে শঙ্কর শুধু হেরেছেন তাই নয়, বিজেপির দৌড় থেমেছে মাত্র ৫টি আসন পেয়েই। অথচ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সেই নির্বাচনের ১০ মাসের মধ্যে কেন বিজেপিকে এহেন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর মেলার আগেই বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর প্রতুল চক্রবর্তীর বাড়িতে ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হন শঙ্কর ঘোষ। ভুললে চলবে না এই ওয়ার্ডেই প্রার্থী হয়েছিলেন শঙ্কর। নিজে হেরেছেন, তৃতীয় হয়েছেন, তারপরও এই সৌজন্যতা। শুধু সৌজন্যতাই নয়, রীতিমত শঙ্কর ও তাঁর সঙ্গে থাকা অনুগামীরা প্রতুল্বাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন।

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কারণ শঙ্কর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তৃণমূলকে সেভাবে তেঁড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেননি। এমনকি এবারে শিলিগুড়ির পুরনির্বাচনের সময়েও তাঁকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেঁড়েফুঁড়ে আক্রমণ করতেও দেখা যায়নি। এই অবস্থাতেই প্রশ্ন উঠেছে শঙ্কর কী সত্যিই সৌজন্যতা দেখাতে গিয়েছিলেন নাকি তৃণমূলে প্রবেশের রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়েছিলেন? কার্যত বার্তা দিলেন তিনি সামান্য সৈনিক হিসাবেই পা রাখতে চান জোড়াফুলের পরিবারে! যদিও শঙ্কর নিজে এইসব সম্ভাবনা ও জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার রাজনীতির ভাষাটা ছোট থেকে একেবারে অন্যরকম৷ ২০১৫ সালে প্রতুলদাকে হারিয়ে আমি কাউন্সিলর হয়েছিলাম৷ সেদিনও প্রণাম করে আশীর্বাদ চেয়ে নিয়েছিলাম৷ আজ উনি বিজয়ী৷ ওনাকে প্রণাম করে শুভেচ্ছা জানালাম৷ এটা শিলিগুড়ির ঐতিহ্য৷ রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই থাক না কেন, সামাজিক বা রাজনৈতিক কাজকর্মে আমাদের মধ্যে কোনও বিদ্বেষ নেই৷ আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের সহযোগী৷’ বস্তুত একই সুর ধরা পড়েছে প্রতুলবাবুর গলাতেও। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, জল্পনাও ক্রমশ ডানা মেলছে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডেও। তবে ঘটনার জেরে তৃণমূলের নেতাদের দাবি, শঙ্কর আদতে আগেই বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন বাংলায় বিজেপির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। হয়তো আগেই তৃণমূলে চলে আসতেন, বিজেপি তাঁকে মেয়র করবে এই টোপ দিয়ে আটকে রেখেছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে শিলিগুড়িবাসীর মনোভাব ও বিজেপির ভবিষ্যৎ দুটোই উনি দেখে নিয়েছেন। তাই হয়তো নতুন দৌড় শুরু করতে চাইছেন। গৌতম দেব যেহেতু মেয়র হয়ে গিয়েছেন তাই আগামী দিনে শিলিগুড়িতে শঙ্করকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ মাঠ ফাঁকা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মমতা-অভিষেককে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার উলুবেড়িয়ায়

শ্রীরামপুরের আস্থাই নেই রামে, প্রচারেও পাল্লা ভারী কল্যাণের

তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের হয়ে প্রচারে নামলেন বনি সেনগুপ্ত

পাথরপ্রতিমায় বাড়িতে ঢুকে ২ বোনকে কুপিয়ে খুন, এলাকায় চাঞ্চল্য

ভোট আবহেই বাংলায় ৬৫৬টি D.EL.ED College’র ৩৮ হাজার আসনে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর