নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য়ের কয়েকটি জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় এই পরিস্থিতি। শুক্রবারই রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এটা ম্য়ান মেড বন্যা বা মানুষের দ্বারা সৃষ্টি। তাঁর দাবি ছিল রাজ্যকে আগাম না জানিয়েই জলাধার থেকে প্রচুর পরিমান জল ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি। ফলে প্লাবিত হয়েছে একের পর এলাকা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নির্দেশ মতো কাজে নেমে পড়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুক্রাবারই তিনি বিদ্যুৎভবনে জরুরি বৈঠক করলেন। এরপর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও হাওড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদ্যুতের অধিকার্তাদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করেন। ওই জেলায় বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি যেসব অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দফতরের আধিকারিকদের। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বিগত মাসে অতিবৃষ্টির জেরে জল জমে বিপত্তি হয়েছিল কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায়। জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণও গিয়েছিল। তাই এই বন্যা পরিস্থিতিতে আগেভাগেই সাবধানতা নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। বিদ্যুৎমন্ত্রী নিজেই সারারাত কন্ট্রোলরুমে থেকে গত সপ্তাহের ‘গুলাব’ ঘূর্ণিঝড় পর্ব সামলেছেন। এবারও পূর্ব বর্ধমান,পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও হাওড়া জেলায় তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতিতে সজাগ রয়েছেন তিনি। যে সমস্ত এলাকা প্লাবিত সেখানে বিদ্যুৎকর্মীদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।