নিজস্ব প্রতিনিধি,বৈদ্যবাটি: হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি অঞ্চলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা লেনে কার্তিক দে নামে মানসিক ভারসাম্য এক যুবককে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বাড়ি গেটের সামনে। দুর্গাপুজোর(Durga Puja) একাদশীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। এর কিছুদিন পরই সে আবার বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ির লোক লক্ষ্য করে সে অস্বাভাবিক কিছু ব্যবহার করছে এবং অসঙ্গতিমূলক কথাবার্তা বলছে। এরপর তার মা এলাকার পৌর সদস্যা শম্পা সরকারের কাছে যান এবং তার চিকিৎসার কথা বলেন। পৌর সদস্যা(Councillor) সেই ভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ।
বর্তমানে ওই পরিবারটির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। যুবকের মা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার(Maid Servent) কাজ করেন এবং ওই এলাকারই এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সামান্য রোজগারে বাড়ি ভাড়া ও সংসার চালিয়ে তার একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই নিরুপায় হয়েই ছেলেকে চেন দিয়ে বেঁধে রেখে তিনি কাজে বের হন মা।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথীর(Sastya Sathi) মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থাকতেও কিভাবে পৌর সদস্যা অসহায় মাকে ফিরিয়ে দেন এই নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ উগরে দেন। এই বিষয় নিয়ে বৈদ্যবাটি(Baidyabati) পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান(Chairman) শান্তনু দত্ত সঙ্গে কথা বললে উনি জানান, এই ব্যাপারটি এই মুহূর্তে উনার কাছে অবগত নয় । কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে পৌরসভাকে জানালে পৌরসভার তরফ থেকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।