নিজস্ব প্রতিনিধি: যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবায় এই ঘটনা ঘটেছে। বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবার বড়মোল্লাখালির বাসিন্দা আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাসান মোল্লার দাবি, শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে হাসানকে আক্রমণ করে হামলাকারীরা। হামলার জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর পর তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। গোটা ঘটনা জানিয়ে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা হাসান মোল্লার কথায়, ‘সেদিন যখন পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলাম, তখন আমাকে ঘিরে মারধর করে। দা দিয়ে কোপ মারতে যাচ্ছিল, প্রাণে মারার পরিকল্পনা করেছিল। এসব বিজেপির দুষ্কৃতীরা করেছে।’
শাসকদলের যুব নেতার ওপর কেন হামলার ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুব নেতার নাম হাসান মোল্লা। তিনি যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিও। তাঁকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তিনি যখন রাধানগর–তারানগর পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলেন তখন কয়েকজন ঘিরে ধরে বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তিনি এমনই অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই সুন্দরবনের বাসন্তী কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এবার গোসাবার যুব তৃণমূল নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটল সেই সুন্দরবনে। অন্যদিকে হাসান মোল্লার ওপর আক্রমণের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ মৃধা। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় বিজেপি জড়িত নয়।