নিজস্ব প্রতিনিধি: দশমী পুজোর পরেই শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বহরমপুরের ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয় এই বিসর্জন পর্ব। এবছর বহরমপুর পৌরসভা(Baharampur Municipality) এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বছর যেসব পুজো কমিটি প্রতিমা নিয়ে আসছেন তারা গঙ্গার পাড়ে এসে বিসর্জনে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ সেরে প্রতিমাকে তুলে দিচ্ছেন বিশেষ একটি ট্রলিতে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই বিশেষ ট্রলি আস্তে আস্তে প্রতিমা নিয়ে চলে যাচ্ছে গঙ্গার পাড়ে। সেখান থেকে প্রতিমাকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে গঙ্গার জলে।
আস্তে আস্তে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে। বিসর্জনের ঘাট গুলিতে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবেলার টিম এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবটাই হচ্ছে নিরাপত্তার সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। এদিকে দুই বাংলার বিসর্জন নির্বিঘ্নে শেষ হল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ইচ্ছামতীর পাড়ে সন্ধ্যা বেলা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। পর্যটক থেকে দর্শনার্থীরা সকলে সেই দৃশ্য উপভোগ করলেন।সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে উমা কৈলাসে রওনা দিয়েছে আবার ফিরে দেখা এক বছর এবার ঘরে ফেরা পালা ।
দুই বাংলার বিসর্জন ঘিরে উন্মাদনা ছিল। অবিভক্ত বাংলার শতাব্দী প্রাচীন এই বিসর্জন পুরনো স্মৃতি, সংস্কৃতি উসকে দেয়। এই প্রাচীন সংস্কৃতিকে বজায় রাখতে টাকি পৌরসভা(Taki Municipality) প্রথম থেকে তৎপর ছিল ।একদিকে জেলা প্রশাসন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বিজিবি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিসর্জনের সময় ছিল দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিসর্জন পর্ব শেষ হলো ইছামতীর পাড়ে ।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী এদিন ইছামতি নদীর পাড়ে জেলা সভাধিপতি গানের প্রথম অ্যালবাম ‘সপ্তক’ এর সঙ্গে পর্যটক থেকে শুরু করে দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে তোলেন।