নিজস্ব প্রতিনিধি: কাজে যোগদানের দু’দিন পর ব্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার এক কর্মীর মৃতদেহ। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক তথা ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসের ভেতর থেকে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মরোঙ্গা এলাকায়। অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কাজে যোগদানের দু’দিনের মধ্যেই কি করে মৃত্যু হল? পরিবারের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্মীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
দেহ উদ্ধার করে ব্যাঙ্কের সহকর্মীরা নিয়ে যান ধূপগুড়ি হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম লিটন সেন, সে জলপাইগুড়ির সেন পাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের মরোঙ্গা চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় সোমবার কাজে যোগদান করে। এরপর মঙ্গলবার কাজ শেষে ব্যাঙ্কের মধ্যেই তাদের জন্য যেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে রাতের খাবার সেরে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তারপর আর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বাবার।
বুধবার সকালে ব্যাঙ্ক মারফত পরিবারের লোকজন খবর পান যে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন সকাল সাতটা। এরপর বাড়ির সদস্যরা ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে পৌঁছে সকালবেলা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাকে হয়ত খুন করা হয়ে থাকতে পারে, কেন না লিটন ছেলেটি খুবই ভালো ছিল এবং তার কোনো ওরকম শারীরিক সমস্যা ছিলনা। তাহলে এত তাড়াতাড়ি কীভাবে শারীরিক অসুস্থতা হয়ে তার মৃত্যু হল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই মৃত্যুর ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।