নিজস্ব প্রতিনিধি,বারুইপুর ও মালদা : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ।বারুইপুরের(Baruipur) বৃন্দাখালি পঞ্চায়েত এর মাছপুকুরের ঘটনা। চারজন সাব-ইন্সপেক্টর, ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সহ মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। অভিযোগ, ঘরের মধ্যে আটকে বিদ্যুৎ সংযোগ অফ করে মারা হয় পুলিশকে। এমনকী বঁটি নিয়ে মহিলারা তাড়া করে পুলিশকে এমনই অভিযোগ।বারুইপুর থানার পুলিসের কাছে খবর আসে যে বৃন্দাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের(Brindakhali Panchayet) মাছ পুকুর এলাকায় বাবুন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মাদক লুকানো আছে। খবর পেয়ে বারুইপুর থানার (Baruipur P.S.)পুলিশ অভিযানে যায়। যখন পুলিশ বাবুনের বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছিল, তখনই তাদেরকে কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ধরে।
পুলিশ কর্মীদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। তাঁদের উপর লাঠি, রড ,বঁটি দিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে এসডিপিও(SDPO) বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি(IC) বারুইপুর সৌম্যজিত রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত ১৫ জন পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা রুজু করেছে। অন্যদিকে, মালদা জেলায়(Malda District) হবিবপুরের মঙ্গলপুরা রাধাকান্তপুরে ভোট বয়কটের রেশ চলছেই। আন্দোলনকারী মহিলারা পুলিশ অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে পারছে না । এমনটাই অভিযোগ এলাকা বাসীর। গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। রাতের বেলা মহিলারা পুলিশি অত্যাচারে মাঠে-ঘাটে অন্যত্রে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। তবে তাদের সাহস জোগাতে এগিয়ে এলেন বিজেপির নেত্রী তথা গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী । নির্যাতিতাদের গ্রামে গিয়ে তিনি পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রাধাকান্তপুরকে(Radhakantapur) পুলিশ প্রশাসন দ্বিতীয় সন্দেশখালি বানাতে চাইছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নেই যেখানে সেখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হকের আদায় চাওয়া কি অপরাধ? তিনি এই নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন। নির্যাতিতা মহিলারা জানিয়েছেন, পুলিশ গ্রামে অকথ্য অত্যাচার করেছে। বাড়িতে কাউকে থাকতে দিচ্ছে না। মুখ খুললে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।পাল্টা তৃণমূল(TMC)। তৃণমূলের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) নেতৃত্বে শুধু মালদা নয় ,ভারতবর্ষের প্রত্যেক মহিলা সুরক্ষিত। এদিকে গোটা গ্রাম এখনো থমথম রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা দুটি ভোটে বয়কট হয়ে যাওয়ায় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মুখে কুলুপ প্রশাসনের। রাধাকান্তপুরে আগামী দিনের উন্নয়ন হবে? এভাবেই আন্দোলন করে ফের মার খাবেন গ্রামবাসীরা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।