এই মুহূর্তে




সল্টলেকে উদ্ধার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ, নাম জড়াল বিডিও’র

courtesy google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সল্টলেক থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকায়। ওই ব্যক্তির নাম স্বপন কামিলা। বছর ৪৮’র স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছিল নিউটনেরই যাত্রাগাছির স্থানীয় খাল পাড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বপন কামিলা আদপে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা। তবে ব্যবসায়িক সূত্রে থাকতেন সল্টলেকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।

গত ৩১ অক্টোবর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর শ্যালক দেবাশীষ কামিলা। তাঁর লিখিত অভিযোগে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নাম। জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে রাজগঞ্জের বিডিওর শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার গয়না চুরি হয়েছিল। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে সল্টলেকের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে ওই চুরির গয়না বিক্রি করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকেই আবার এই খবর পান বিডিও। এরপর ২৩ অক্টোবর নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চেপে এক ব্যক্তি আসেন সল্টলেকের দত্তাবাদে। সেদিন জমি সংক্রান্ত একটি কাজে ওড়িশা গিয়েছিলেন তিনি। ফলে দোকানটি যার বাড়িতে ভাড়া দেওয়া সেই মালিক গোবিন্দ বাগকে দিয়ে ফোন করানো হয় ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে। বলা হয় স্বপনকে দ্রুত ফিরে আসতে বলতে। এরপর ২৮ অক্টোবর সকালে দু’জন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে দত্তাবাদে ফেরেন ব্যবসায়ী।

দেবাশীষ কামিলার অভিযোগ, এরপর যখন স্বপন দুই সঙ্গীকে নিয়ে ফিরে দোকানে পৌঁছান তার দশ মিনিটের মধ্যে দুটি গাড়ি করে বেশ কিছু লোক আসে। এর মধ্যে নীল বাতি লাগানো একটি গাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক নিচে নেমে নিজেকে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলে পরিচয় দেন বলে দাবি। এরপর স্বপন কামিলার আর কোনও বক্তব্য না শুনেই তাকে এবং দোকান ভাড়া দেওয়া মালিক গোবিন্দকে তুলে নিয়ে চলে যায়।

পরে সল্টলেকের নয়াবাদ এলাকায় গোবিন্দকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের নির্জন খালপাড় থেকে উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। গত ৩১ অক্টোবর এই গোটা ঘটনা জানিয়ে বিধান নগর সাউথ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবাশীষ। সমস্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীদের দাবি বহুদিন ধরে স্বপন কামিলা এখানে থাকতেন। তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিলেন। কখনও কারও সঙ্গেই ঝগড়া বিবাদ করতেন না। সেই মানুষকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন হতে হল তা কেু বুঝতে পারছেন না। যদিও অভিযুক্ত বিডিও নিজে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  বিধান নগর কমিশনারেট জানিয়েছে এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বনগাঁয় সন্দেহজনক ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল মৃত মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়

চার বছর আগে চলে যাওয়া গৃহবধূ ভোটার কার্ডের খোঁজে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে, তারপর…

৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর জলাশয়ে ভাসল শিশুকন্যার দেহ, শোকের ছায়া গ্রামে

‘ভোটে লড়ার জন্য টিকিট চাইনি’, ফের সরব দিলীপ ঘোষ

কলকাতা থেকে গ্রেফতার জাল নথি সহ আফগান নাগরিক

SIR প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলছে তো? জানতে রাজ্যে এলেন কমিশনের প্রতিনিধিরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ