নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলবের মাঝে তাঁর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী। যা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বিতর্কের মাঝে পড়ে সাত দিনের ছুটিতে গেলেন ওই চিকিৎসক। মানসিক চাপের কারণে তিনি ছুটিতে গেলেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রনাথ অধিকারী।
ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী অনুব্রতর বাড়িতে তাঁকে চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন মঙ্গলবার। বোলপুর হাসপাতালের সুপারের নির্দেশে তিনি গিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। শুরু হয় সমালোচনা। সেদিন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী সরকারি প্যাডে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রেসক্রিপশন করেননি। তার বদলে সাদা কাগজে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির বেড রেস্টের কথা লিখে এসেছিলেন। এ ভাবে কারও বাড়িতে গিয়ে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলে চিকিৎসকদের একাংশ। অন্যদিকে যে সুপারের নির্দেশে তিনি অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন সেই বুদ্ধদেব মুর্মুরও দেখা নেই গত কয়েকদিন ধরে। বোলপুর হাসপাতাল সূত্রে দাবি, গত শনিবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন তিনি। যদিও ছুটিতে থাকাবস্থায় কীভাবে একজন সুপার অধস্তন কর্মীকে নির্দেশ দিতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারীর দাবি, সুপারের নির্দেশে মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পর কেষ্ট নিজেই তাঁকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিতে অনুরোধ করেন। আর এরপর কোনও প্যাড ছাড়া সাদা কাগজে তিনি লিখে দেন বেড রেস্টের কথা। কিন্তু তা নিয়ে যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সমালোচনায় সরব হচ্ছে, সেই সময় ওই চিকিৎসককেও বিঁধতে ছাড়ছেন না সমালোচকরা। এবার মানসিক চাপের কথা বলে তিনি সাত দিনের ছুটিতে গেলেন।