নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে ফের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালো পুলিশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে আগামী কয়েকদিনের পর থেকেই পশ্চিমের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নামতে চলেছে। সেই কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেরা থানার(BeliaberaP.S.) চোরচিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়িভাঙাতে শুক্রবার কম্বল বিতরণ করল পুলিশ। জঙ্গলমহলের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র ৫২৫ জনকে শীতের কম্বল দেওয়া হয়। মূলত বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। এছাড়া দিশা ফ্রি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের সহায়িকা বিভিন্ন বই উপহার দেওয়া হয়।
উদ্দেশ্য জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েদের প্রকৃত আলোর দিশা দেখানো। পুলিশের এই সামাজিক মুলক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার(SP) সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ADD.S.P.)সদর, গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও(SDPO) ও গোপীবল্লভপুরের সি আই(CI)। এর আগেও জঙ্গলমহলে দরিদ্র শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার, যুবক যুবতীদের হাতে খেলার সরঞ্জাম ও শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার ফ্রি কোচিং সেন্টারের আয়োজন করেছিল ঝাড়গ্রাম পুলিশ। উদ্দেশ্য একটাই একসময়ের গামছা ঢাকা মুখগুলির ত্রাস আর যেন ফিরে না আসে জঙ্গলমহলে। সেখানকার হতদরিদ্র পরিবারগুলিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ অন্যান্য সমস্ত রকমের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে পুলিশ প্রশাসন ।
এবার সরাসরি সাহায্য তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ । খেলোয়াড় থেকে ভালো সরকারি কর্মচারী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। বেকারত্ব ঘোছানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়ে বয়স্ক মানুষদের হাতে কখনো শীতবস্ত্র কখনো বা নতুন জামা কাপড় তুলে দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ প্রশাসন। বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালোধী একের পর এক জঙ্গলমহলে(Jangalmahal) এই ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। জঙ্গলমহলের দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি প্রকৃত পুলিশের বন্ধু হয়ে এটাই জঙ্গলমহলে পুলিশ প্রশাসন প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা দুষ্টের দমনে এবং সৃষ্টের পালনে ব্রতী। শুধু জঙ্গলমহলের মানুষকে নয় ভিন রাজ্যের হারানো মানুষকেও তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে জঙ্গলমহলের প্রশাসন প্রমাণ করে দিয়েছে তারা বিপদে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।