এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দুধকুমার মণ্ডলকে শোকজের সিদ্ধান্ত বঙ্গ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনাশকালে আক্ষরিক অর্থেই বুদ্ধিনাশ হয়েছে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP)। বীরভূম(Birbhum) জেলার অন্যতম জনপ্রিয় ও যোগ্য নেতাকে তাঁর প্রকৃত দাম দেওয়ার বদলে এখন তাঁকে কার্যত দল থেকেই কেটেছেঁটে ফেলা দেওয়ার উপক্রম করেছেন বঙ্গ বিজেপির মাথারা। বীরভূম জেলার বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ও দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলকে(Dudh Kumar Mondol) শোকজের পথে হাঁটতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ যে নেওয়া হতে পারে সেটা রবিবারই ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। সূত্রের খবর, প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য দুধকুমার মণ্ডলকে শোকজের(Show Cause) সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। যত দ্রুত সম্ভব এই শোকজের চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে দুধকুমারকে। এর আগে রীতেশ তিওয়ারি এবং জয়প্রকাশ মজুমদারকেও শোকজ করে বিজেপি। সেই চিঠির উত্তর দেওয়ার আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য দু’ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। জয়প্রকাশ পরে তৃণমূলে যোগ দিলেও, রীতেশ বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু এখনও তাঁর সাসপেনশন জারি রেখেছে দল।

উল্লেখ্য, শনিবার দুধকুমার তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি দলীয় কর্মীদের বসে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। কেননা তাঁকে না জিজ্ঞাসা করেই দল জেলায় বেশ কিছু কমিটি গঠন করা হয়েছে। বীরভূমের প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি দুধকুমার তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘জেলা থেকে ব্লক কমিটি আমার সাথে আলোচনা না করে কমিটি গঠন করেছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক এবং কার্যকর্তাগণ আমাকে যারা ভালোবাসেন তার চুপচাপ বসে যান।’ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরে দলের ব্লক কমিটি গঠনের জন্য ডাকাই হয়নি দুধকুমারকে। যদিও দলের এক নেতার অনুরোধে তিনি সেই বৈঠকে যোগ দেন। কিন্তু তিনি সেই বৈঠকে যে সব প্রস্তাব রেখেছিলেন তা মানতে অস্বীকার করে দেন দলেরই প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। পরে দেখা যায় বুথ কমিটিতে দুধের অনুগামীদের জায়গাই দেওয়া হয়নি। তারপরেই ওই ফেসবুক পোস্ট করেন দুধকুমার।

তবে দুধের এই বিদ্রোহকে বিশেষ পাত্তা দিতে চাইছে না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। গতকালই এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘কিছু মানুষ মনে করছে, আমরা বড় নেতা হয়ে গিয়েছি। আদতে পার্টির বাইরে আমাদের কারও কোনও অস্তিত্ব নেই। এটাই অনেকে ভুলে যায়। পার্টির সংবিধানে কোথাও লেখা নেই, দুধকুমার মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে, এই কমিটিগুলো করতে হবে।’ তবে সুকান্তের এই মনোভাব বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাই সমর্থন করেন না। তাঁদের মধ্যে যেমন দলের আদি নেতারা আছেন তেমনি রয়েছে নব্য নেতারাও। তাঁদেরই একজন বীরভূম জেলার বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমানে বিজেপি সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা গতকালই টুইট করে দুধের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘দুধ কুমার দা’র মতো মানুষ সংগঠন থেকে হারিয়ে গেলে, তা চিন্তার এবং উদ্বেগের !!! বর্তমানে যারা সংগঠনে আছেন, তাঁদের উচিত দুধ কুমার মন্ডল’এর মতো পুরনো মানুষ যারা সাংগঠনিকভাবে বলিষ্ঠ, তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শকে যথাযথ সম্মান এবং গুরুত্ব দিয়ে সংগঠনের সামনের সারিতে আনা !!!’

যদিও দেখা যাচ্ছে দুধের প্রতি এই সমর্থনকে সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর চ্যালারা কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না। তারই প্রতিফলন দুধকে শোকজ করার সিদ্ধান্তে। তবে এটা কোনও ভাবেই অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, দুধকুমার মণ্ডলের আমলেই বীরভূমে বিজেপির রমরমা হয়েছিল জেলাজুড়ে। অথচ পুরভোটের সময় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই কলকাতা থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এর দাম দলকে চোকাতেই হবে বলে মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির বেশির ভাগ নেতাই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর