এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বঙ্গ বিজেপিকে কড়া হিন্দুত্বে সাজাচ্ছেন অমিতাভ

নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দুত্ব, বিজেপির মূল ভিত্তি। সঙ্ঘ, বিজেপির মূল চালিকা শক্তি। আর অমিতাভ, তিনিই এখন বঙ্গ বিজেপির প্রাণশক্তি। সুকান্ত মজুমদার সেখানে শুধুই পদধারী। গেরুয়া শিবিরের দাবি, অমিতাভই এখন বঙ্গ বিজেপিকে চালাচ্ছেন। সুকান্ত শুধু তাঁর সুরে সুর মেলাচ্ছেন মাত্র। কার্যত এই সুরে সুর মেলাতে তিনি বাধ্য। কারন বঙ্গ বিজেপিতে তাঁর নিজস্ব অনুগামী বা সমর্থক বলে কেউ নেই। কার্যত রীতিমত ভাসমান অবস্থায় রয়েছেন তিনি। একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতাই নেই তাঁর। এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধরা বঙ্গ বিজেপি থেকে অমিতাভ চক্রবর্তীকে সরানোর দাবি তুললেও তাকে বিন্দুমাত্র মান্যতা প্রদান করা বা গুরুত্ব প্রদান করতে চাইছে না কিবা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব, কিবা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কিবা সঙ্ঘ। কার্যত সঙ্ঘের হাতেই বঙ্গ বিজেপির রাশ তুলে দিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই অমিতাভ চক্রবর্তীকে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে। লক্ষ্য একটাই বাংলার বুকে বাংলার মাটিতে বিজেপি যেন তাঁর নিজস্ব শিকড় ছড়িয়ে দিতে পারে। যে শিকড়ের ওপরে ভর দিয়ে বাংলায় নিজের বিস্তার ঘটাতে পারবে বিজেপি। আর সেই কাজই সঙ্ঘের নির্দেশে শুরু করেছেন অমিতাভ। তিনি বঙ্গ বিজেপিকে কড়া হিন্দুত্বের পথে হাঁটাতে চান।

সঙ্ঘের পর্যবেক্ষণ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে শিকড়হীন বিচরণের জন্য। মোদি হাওয়া আর ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা নেতাদের ওপর ভর দিয়ে দল ভোটে নেমে পড়েছিল। একবারও বোঝার চেষ্টা করেনি যে বাংলার মাটি থেকে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতি করে আসা ও বামেদের মতো প্রবল সাংগঠনিক শক্তিসম্পন্ন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে উঠে আসা মহীরুহ সম্পন্ন এক নেত্রীর বিরুদ্ধে যে এভাবে লড়াই করে জেতা যাবে না। কার্যত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারটাই হয়েছিল ফাঁপিয়ে ফোলানো এক বেলুনকে আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার ধাঁচে যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ ছিল না। ফল যা হওয়ার সেটাই হয়েছে ও হচ্ছে। দল মুখ থুবড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিন্ন দল থেকে আসা নেতারা দলে দলে বিজেপি ছাড়ছেন। তাই সঙ্ঘ এখন আর বাংলার বুকে বিজেপির নিয়ন্ত্রণকে না আদি নেতাদের হাতে ছাড়তে চাইছে, না ভিন্ন দল থেকে আসা নেতাদের হাতে ছাড়তে চাইছে। সঙ্ঘের এখন সিদ্ধান্ত যারা সঙ্ঘের আদর্শ মেনে দীর্ঘদিন ধরে মুখ বুজে সঙ্ঘের সব সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বা সব কাজ করে গিয়েছেন তাঁদের হাতেই থাকবে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব।

সঙ্ঘের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। আর তারপরেই বঙ্গ বিজেপি সংগঠন অমিতাভের হাতে ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘের নির্দেশ মতো অমিতাভ সেই সব মানুষদের নিয়েই এখন দল চালাচ্ছেন বা চালাবেন যারা নিজেরা সঙ্ঘের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। সেই নীতি মেনেই অমিতাভ চক্রবর্তী বাংলায় দলের সংগঠন সাজাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এই সংগঠনকেই তিনি বাংলায় কড়া হিন্দুত্বের পথে নিয়ে যাবেন। এই সিদ্ধান্ত যারা মানতে পারবেন না বঙ্গ বিজেপিতে তাঁর ঠাঁই হবে না। তাই শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে জয়প্রকাশ মজুমদাররা যতই বিদ্রোহী হন না কেন, যতই বিক্ষুব্ধ হন না কেন, যতই পৃথক মঞ্চ বা পৃথক দল গড়ার পথে হাঁটা দিন না কেন, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সঙ্ঘ। তাই বিক্ষুব্ধরা যতই অমিতাভ হঠানোর দাবি তুলুন না কেন, বাস্তবে অমিতাভের হাতেই থাকছে বঙ্গ বিজেপির রাশ। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বা ভিন্ন পথে হাঁটার হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের হয় অমিতাভকে মেনে নিয়েই দলে থাকতে হবে নাহলে দলই তাঁদের কেঁটেছেঁটে ফেলে দেবে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর