এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার বাংলায় কৃষকদের আয় ৩ গুণ বৃদ্ধ পেয়েছে, মান্যতা মোদি সরকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা মিথ্যাকে বহুজনে বার বার আওড়ালে অনেকেই সেই মিথ্যাকে সত্যি বলে মেনে নেন। কিন্তু সত্য হল সূর্যের আলোর মতো। হাজার চেষ্টা করলেও তাকে ঢেকে রাখা যায় না। মেঘ সরলে, রাতের অবসান হলে সে ঝকমকিয়ে উঠে নতুন প্রভাতের জয়গান গায়। সেটাই এবার হচ্ছে বাংলার(Bengal) বুকে। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গেরুয়া শিবির কতই না কুকথা, মিথ্যা নিরন্তর প্রচার করে চলেছে। কিন্তু দিনের শেষে সেই সব কিছু ভাঁওতা হয়ে যাচ্ছে অতিবড় সত্যে ধাক্কা খেয়ে। তখন নিজের ফেলা থুতু নিজেদেরই চেটে সাফ করতে হচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে(Modi Government)। এই এখন যেমন তাঁরা মেনে নিতে বাধ্য হল দেশের অন্য রাজ্যের কৃষকরা(Farmers) যখন ঋণের দায়ে জর্জরিত, তখন বাংলার কৃষকদের আয় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজ্যেই কৃষক পরিবার পিছু ঋণের(Loan) বোঝা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর এই দুটি ঘটনাই বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষকদের উন্নয়নে এখনও পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ করেছেন তা কতখানি কার্যকর হয়েছে ও সঠিক ছিল।

আরও পড়ুন ধর্মঘটের দিন গরহাজির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে শিক্ষা দফতর

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষক পরিবারের ওপর সর্বাধিক ঋণের বোঝা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, হরিয়ানা, কর্ণাটক এবং পাঞ্জাবে। সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে কৃষক পরিবারগুলির ওপর ঋণের বোঝা জাতীয় গড়ের অর্ধেকের থেকেও কম। সারা দেশের কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করতে অপারগ মোদি সরকার। সেই সঙ্গে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে কৃষক পরিবারগুলি পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা বয়ে চলেছে। কিন্তু বাংলায় সেই ছবিটাই পুরো আলাদা। শনিবার রাজ্য বিধানসভায় কেন্দ্রের দেওয়া এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক পদক্ষেপের ফলেই বিগত ১১ বছরে বাংলার কৃষকদের আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকবন্ধু থেকে শুরু করে বাংলা শস্য বিমা, উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান সহ একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন মমতার সরকার। পাশাপাশি দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের পাশেও দাঁড়িয়েছে এই সরকার। সম্প্রতি দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৪৮ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরও পড়ুন ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রবিবার বৈঠকে রাজ্যপাল

বাংলার এই সাফল্য এখন দেশের একের পর এক রাজ্য সরকার অনুসরন করছে, অনুকরণ করছে। কৃষকদের জন্য বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে বিমা প্রকল্প এনেছে, তার আদলে নিজস্ব প্রকল্প চালুর পথে হাঁটা দিয়েছে রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, বিহার, ওড়িশা সহ নানা রাজ্য। এই রাজ্যগুলিও প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলার অনুকরণে প্রকল্প চালু করছে। কারণ, কেন্দ্রের স্কিমে বিমার প্রিমিয়ামের একটি বড় অংশের টাকা দিতে হয় উপভোক্তাকে। ক্ষতিপূরণ পেতে ন্যূনতম দেড় বছর সময় লাগে। সেই জায়গায় বাংলা শস্য বিমার সুবিধা কৃষকরা পান সম্পূর্ণ বিনা খরচে। বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলেছে বাংলায় মমতার জমানায় নাকি কৃষকদের দুর্দশার শেষ নেই। অথচ মোদি সরকারের পাঠানো পরিসংখ্যানই এখন বলে দিচ্ছে সেই সব অভিযোগ কতখানি মিথ্যা। এবার কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যান নিয়ে কী বলবেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার? কী বলবেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? উত্তর আছে কিছু আপনাদের কাছে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর