নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর ওপরে এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে। পূর্বাভাস যেটা রয়েছে তা হল আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। কিন্তু নিম্নচাপের অবস্থান হবে উড়িষ্যা অন্ধ কোস্টের কাছাকাছি।অর্থাৎ আমাদের কোস্ট থেকে অনেকটা দূরে। নিম্নচাপ হওয়ার পর উড়িষ্যা কোস্ট ধরেই উড়িষ্যা ধরেই এগিয়ে যাবে। ফলে আমাদের রাজ্যে এই নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর জানান।
তিনি বলেন, কিন্তু নিম্নচাপ যতই ভিতরে ঢুকবে তত আমাদের রাজ্যের উপর দিয়ে দক্ষিণ দিক থেকে এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে জলীয় বাতাস প্রবেশ করবে। তার ফলে আজকে থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। যেহেতু নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব পড়বে না ,ফলে এই বৃষ্টি টানা নয়, কতগুলি স্পেলে হবে। শুধুমাত্র উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এই জেলাগুলিতে একটু বেশি হবে এবং দুই এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উপকূল সন্নিহিত জেলা কলকাতা হাওড়া এবং হুগলিতে বৃষ্টি হালকা থেকে মাঝারি হবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রথম ২৪ ঘন্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২৪ ঘন্টা পর থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি একটু কমবে। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন নেই। দক্ষিণবঙ্গের প্রথম তিনদিন তাপমাত্রা কমবে। কলকাতায় কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে নিকাশি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী মানিকতলায় বৃষ্টি হয় ১৯ মিলিমিটার। এছাড়া বেলেঘাটাতে ২মিলিমিটার, পামার বাজারে ৫ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়াতে ৯.৬০ মিলিমিটার, পাগলা ডাঙ্গা পাম্পিং স্টেশনে এলাকায় ১. ২০ মিলিমিটার চিংড়িঘাটাতে ৩ মিলিমিটার, কুলিয়া টেংরাতে ৪.৬০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।