নিজস্ব প্রতিনিধি: ভরা বর্ষায় উত্তরাখণ্ডের(Uttarakhand) মদমহেশ্বরে(Madmaheshwar) ট্রেকিং(Trekking) করতে গিয়েছেন হুগলি(Hooghly) জেলার চন্দননগরের(Chandannagar) বাসিন্দা রাজীব বিশ্বাস(Rajib Bishwas)। গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া থেকে রাজীববাবু তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে রওয়ানা দেন। ১১ জনের দলটির গন্তব্য ছিল মদমহেশ্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর সেখানে পাহাড়ে চড়েন সকলেই। সেই দলেরই এক সদস্যের পায়ে সমস্যা দেখা যাওয়ায় রাজীববাবু তাঁর সঙ্গে থেকে যেন। বাকিরা নীচে নেমে আসেন। পরেরদিন রাজীববাবুর সেই সঙ্গী নেচে নেমে এলেও রাজীববাবু আর ফেরেননি। কার্যত নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। গত ৩ দিন ধরেই রাজীববাবুর আর কোনও খোঁজ মিলছে না। তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই তাঁর পরিবারের ওপর এখন ঘনিয়েছে দুশ্চিন্তার মেঘ।
মদমহেশ্বরে ট্রেকিং করতে যাওয়া ওই দলটির সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীববাবু যার জন্য ওপরে থেকে গিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি পরেরদিন চেনা রুট দিয়ে নীচে নামলেও নামেননি রাজীব। তিনি জানিয়েছিলেন, অন্য রুট দিয়ে সংক্ষেপে তিনি নীচে নামবেন। কিন্তু তাঁর আর দেখা মেলেনি। পুরনো রুটেই রাজীবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই অভিযাত্রী দলের অন্য সদস্যেরা। দীর্ঘ সময় ধরে রাজীবের খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় তাঁরা স্থানীয় থানার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। রাজীবের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। ড্রোন দিয়ে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করা হলেও সফলতা মেলেনি। আর এই অবস্থায় কার্যত অথৈ জলে পড়েছে রাজীববাবুর পরিবার।
চন্দননগরে রাজীববাবুর বাড়িতে আছেন তাঁর স্ত্রী রানু বিশ্বাস এবং তাঁদের একমাত্র মেয়ে। রাজীবের জন্য দুশ্চিন্তায় কার্যত তাঁদের রাতের ঘুম উড়েছে। রাজীবের স্ত্রী রানু বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘ওর সঙ্গে শেষ বার আমার কথা হয় ২৬ তারিখ। বলেছিল, ওপরে উঠলে ফোনে টাওয়ার থাকবে না। ওর ট্রেকিংয়ের নেশা ছিল বরাবর। বারণ করলেও শুনত না। কেদারনাথ যাওয়ার কথা ছিল ওর।’ ইতিমধ্যেই রাজীবের আত্মীয়েরা উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেছেন। কিন্তু রাজীবের কোনও খোঁজই এখন মিলছে না। সেই সঙ্গে আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে তাঁর খোঁজ পাওয়া এখন আরও কঠিন হয়ে পড়বে।