নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, এবার তাঁর লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান। তাই সেই লক্ষ্যে মুম্বই গিয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক কিংবা নবান্নে গৌতম আদানির আগমন, ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যে শিল্পকেই আগামীর কাজ হিসেবে দেখছেন মমতা। সেই কারণেই এপ্রিলের ২০-২১ তারিখ বিশ্ব বাংলা বিজনেস সামিটের আয়োজন করছে রাজ্য। আর সেই নিয়ে বিশেষ ব্লু-প্রিন্ট সাজিয়েছেন মমতা। মূলত নির্দিষ্ট কিছু এলাকা নয়, প্রত্যেক জেলাতেই যাতে ছোট বড় শিল্প গড়ে ওঠে ও কর্মসংস্থান হয় সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়ে বারবার বৈঠকে বসে আলোচনা সারছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের সফরের সময় সেখানকার শিল্পপতি ও বণিকসভাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে শিল্পপতি ও বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। আগামী বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে সেই বৈঠক। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শুধুই বণিক মহল নয়। রাজ্যের যে যে জেলা গুলিতে শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলি নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী ও ডেটা ভার্চুয়ালি দেখানো হবে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও অ্যাম্বাসাডারদের। বাংলায় বিনিয়োগের জন্য ও শিল্প সম্মেলনে আসার জন্য তাঁদের আহ্বান জানানোও হবে।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে চা, আনারস, পর্যটন ও পাথর খাদান শিল্পকে জোর দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ভারী শিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলার নদীর দু’পাশে রাজ্য সরকারের জমিতে থাকা কিংবা পরিত্যক্ত কারখানা গুলিকে নিয়েও কিছু করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা করছে নবান্ন। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, যেমন- দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের বণিক মহলের সদস্য ও শিল্পপতিদের ডাকা হয়েছে। এপ্রিল মাসের আগেই সবকিছু গুছিয়ে ফেলতে চাইছে নবান্ন, এই বার্তা দিয়ে রাখছেন মমতা।