নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর বাড়িতে ২০২০ সালে এসে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়া জেলার চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করার ফাঁকে বিভীষণের অসুস্থ মেয়ে রচনা হাঁসদার চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থার আশ্বাসও দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রাক্কালে সেই বিভীষণকে নিয়ে শুরু হল ফের রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
বিজেপি সমর্থিত এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছে আদিবাসী সমাজের দ্রৌপদী মুর্মুকে। আদিবাসী পরিচিতিকে যে গুরুত্ব দেয় গেরুয়া শিবির এদিন তা বোঝাতে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁকে আগামী ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয় পদ্ম শিবিরের তরফে। এমনকি ভোটে জিতলে বিভীষণকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে বসানোরও প্রস্তকাব দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সে বিষয়ে কোনও জবাব দেননি বিভীষণ। বরং তিনি সময় চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির এহেন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে বিভীষণকে দলে টানার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন৷ সহজ সরল বিভীষণকে নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে বলে দাবি তৃণমূলের।
উল্লেখ্য বিভীষণ হাঁসদার অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’এর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি। তবে তা না হলেও তৃণমূল ও বিজেপির তরফে মাঝে মাঝে তাঁর বাড়ি গিয়ে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছে। তাঁকে নিয়ে এবার টানাটানি শুরু করেছে দুই দল।