নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। যার জেরে মৃত্যু হয় ৯ জন যাত্রীর, আহত হন অনেকেই। কিন্তু কীভাবে ঘটে এই দুর্ঘটনা? প্রাথমিক তদন্তে একাধিক তথ্য উঠে আসলেও বিস্তারিত জানা যায় নি কিছুই। তবে শুক্রবার রেলবোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনের সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনা। যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটির। নির্ধারিত দূরত্বের থেকে ৪ গুণ বেশি দূরত্ব পেরিয়েছিল ওই ইঞ্জিনটি। সাড়ে চারহাজার কিলোমিটারের পরই ইঞ্জিন পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়াই ১৮ হাজার কিলোমিটার ইঞ্জিনটি ছুটেছিল বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির দেওয়া রিপোর্টে রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে রেলের বিরুদ্ধেই। কীভাবে এত বড় গাফিলতি ঘটল? প্রশ্ন বিশেষজ্ঞরা। গত ১৩ জানুয়ারি ৫ টা নাগাদ আচমকাই ময়নাগুড়ির দোমোহানি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকানের এক্সপ্রেসের ১২ টি বগি। করোনা পরিস্থিতি থাকার জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ালেও যেটা ঘটেছে তা নিয়ে রেলের মধ্যেই উঠেছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। কীভাবে ওই ইঞ্জিনকে এতদিন ধরে চলতে দেওয়া হয়েছে? তা নিয়ে কোনও উত্তর দেয় নি রেলবোর্ড। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিকে ১৪০ টনের ব্রেক ডাউন ক্রেনের সাহায্যে দোমোহনি থেকে ট্রেন ইঞ্জিন ট্র্যাকে তুলে অন্যত্র নিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আগেই ট্রেনের লোকো পাইলট ও গার্ড জানায় ইঞ্জিনেই মূল সমস্যা ছিল। যা তদন্তের রিপোর্ট ধরা পড়ায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।