এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সর্বহারা বিনয় তামাংয়ের ঠাঁই হল বাংলার সর্বহারা কংগ্রেসে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষ রাজনীতিতে(Politics) নেমে মুখ বলে, সমাজসেবার জন্য এসেছি। আদতে লক্ষ্য থাকে নিজের রাজনীতির কেরিয়ারটাকে ঝাঁ চকচকে করে তোলা। কিন্তু কেউ যদি সেই ঝাঁ চক চকে রাজনীতি দিয়ে শুরু করে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে তাহলে তাঁকে কী বলবেন? এই প্রশ্নের এককথায় উত্তর একটাই, ‘ফ্লপমাস্টার জেনারেল’। একসময় এই নামেই টালিগঞ্জে ডাকা হত উত্তমকুমারকে। কেননা তাঁর পর পর ৭খানি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল। যদিও পরে সেই উত্তমই বাংলা সিনেমার কালজয়ী ‘মহানায়ক’ হয়ে ওঠেন। কিন্তু সবাই তো পারেনা উত্তমকুমার হতে। তাঁদের তখন এঘাট সেঘাটের জল খেয়ে বেড়াতে হয়। এই যেমন পাহাড়ের বাসিন্দা বিনয় তামাং(Binay Tamang)। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা(GJMM) দিয়ে যার রাজনীতি শুরু সে তৃণমূল(TMC) ঘুরে এবার পা রাখল কংগ্রেসে(INC)। কিন্তু তাতে লাভ কী হল? প্রশ্ন ঘুরছে দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) পাহাড়ে।

বিনয় তামাং একসময় বিমল গুরুংয়ের হাত ধরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায়। কিন্তু গুরুংয়ের বনধ, অবরোধ, খুনোখুনির রাজনীতির সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি। গুরুং যখন পাহাড়ে টানা বনধ ডেকে বেপাত্তা হয়ে যান তখন এই বিনয় তামাংই পাহাড়ে সেই বনধ তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পাহাড়ের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছিলেন, কীভাবে গুরুং তাঁদের সঙ্গে প্রতারনা করে চলেছেন। ভয় ভাঙিয়েছিলেন পাহাড়বাসীর। পাহাড় ফিরেছিল স্বাভাবিক ছন্দেও। সেই কাজে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা তো পেয়েইছিলেন বিনয়, সেই সঙ্গে পাশে পেয়েছিল অনীত থাপাকেও, যিনি এখন পাহাড়ে জিটিএ চেয়ারম্যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বেশ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বিনয়ের। রাজ্য সরকার তাঁকে জিটিএ চেয়ারম্যানও করেছিল। বিনয় তৃণমূলে যোগও দিয়েছিলেন। সবাই এটাই ভেবেছিল, বিনয়ের হাত ধরেই পাহাড়ে নতুন ভোর হবে। ভোর হল ঠিকই, কিন্তু বিনয়ের মতিভ্রমও হল। নিজেই পদত্যাগ করে দিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান পদ থেকে। একসময় মোর্চাতেও ফিরে যান। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন ঠাঁই হয়নি তাঁর। শেষে এদিন যোগ দিলেন কংগ্রেসে।

রবিবার কালিম্পং টাউন হলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন বিনয়। তাঁর সঙ্গে পাহাড়ের আরেক নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রীও এদিন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। সেই কংগ্রেসে তাঁরা যোগ দিয়েছেন, বাংলার মাটিতে যাদের আজ আর সাইনবোর্ডটুকুও নেই। কার্যত সর্বহারা বিনয় এদিন যোগ দিলেন সর্বহারা কংগ্রেসে। বাংলার বিধানসভায় কংগ্রেসের না আছে কোনও বিধায়ক, না হাতে আছে কোনও জেলা পরিষদ। হাতে নেই কোনও পুরসভাও। সবেধন নীলমনি হ্যে রয়েছেন ২জন সাংসদ। সেটাও ২৪’র ভোটের পরে থাকবে কিনা সন্দেহ। সেই কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিনয় তামাং এদিন কোন রাজত্ব পেলেন সেটা সময়ই বলবে। তবে অনেকেই মনে করছেন ২৪’র ভোটে বিনয় তামাং হয়তো প্রার্থী হবেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে। হতেই পারেন। কিন্তু ভোট পাবেন তো? পাহাড়ের ভোট তো এখন অনীত থাপার হাতে। সেই অনীত যার সঙ্গে সুসম্পর্ক বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। আর যদি ভোট না পান বিনয়, তাহলে আগামী দিনে তাঁকে ফের দেখা যাবে অন্য কোনও দলে যোগদান করতে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর