নিজস্ব প্রতিনিধি: আত্মহত্যা করেছিল বন্ধু। সেই বন্ধুর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হল বন্ধু। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের দেউচা এলাকায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। দুই বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টিফেন হেমব্রম ও চ্যাম্পিয়ন মুর্মু নামে দুই কিশোর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু নামে এলাকায় পরিচিত। দেউচার বাসিন্দা ষোলো বছর বয়সী কিশোর স্টিফেন হেমব্রম তার বাবার কাছে একটি মোটর বাইক কিনে দেওয়ার আবদার করেছিল। কিন্তু ছেলের সেই আবদার মেটাতে পারেনি বাবা। বাইক না পেয়ে আত্মঘাতী হয় স্টিফেন। আর এই ঘটনার খবর শোনার পর মুষড়ে পরে চ্যাম্পিয়ন মুর্মু। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুশোক সামলাতে না পেরে চরম পথ বেছে নেয় চ্যাম্পিয়ন। বারবার সে বলতে থাকে প্রিয় বন্ধু যখন আর বেঁচে নেই, তখন তার বেঁচে থাকা অর্থহীন। এরপর একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় চ্যাম্পিয়নকে। সোমবার রাতে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে আবিস্কার করেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি তার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চ্যাম্পিয়নকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুই কিশোরের পর পর মৃত্যুতে গ্রামের মানুষের মধ্যে শোকের আবহ।
প্রসঙ্গত চ্যাম্পিয়ন মুর্মুর বাড়ি আদতে কুরমিথায়, কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর পর সে মামাবাড়ি দেউচাতে থাকত। আর মামাবাড়িতে থাকার সুবাদে স্টিফেনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। স্টিফেনেরে বাড়ি তার মামাবাড়ির পাড়াতেই। দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ।