নিজস্ব প্রতিনিধি,সুন্দরবন: শীত পড়তেই খাবারের সন্ধানে সুন্দরবন এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা। সংখ্যায় কম থাকায় রীতিমতো মন খারাপ সুন্দরবনবাসীর ।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার, বসিরহাট মহকুমার, সন্দেশখালি, এক, দুই, হিঙ্গলগঞ্জ(Hingalganj), মিনাখাঁ, হাড়োয়া, সহ সুন্দরবনের(Sundarban) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মেছো ভেরী সহ বিভিন্ন জলাশয় রয়েছে। যেখানে মৎস্য চাষ করা হয়। আর শীত পড়তেই দলে দলে ভিড় জমান। পরিযায়ী পাখিরা। কিন্তু এবারে সংখ্যায় কম হওয়ায় রীতিমতো মন খারাপ সুন্দরবনবাসীর।
প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ অর্থাৎ সুন্দরবন এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, মদন টাক, স্যাংকল, হাঁস পাখি, সাদা বক, কুনো বক, কাকপাখি, ডুবুরি, মাছরাঙা, বাটাং, পানিকৌড়ি, বেকচো, ধাড়বক, কাকবক, সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা এই সকল মেছোভেড়ি সহ বিভিন্ন জলাশয়ে শীত পড়তেই তারা ভিড় জমায়। খাবারের সন্ধানেই তাঁরা সুদূর সাইবেরিয়া (Saibaria)সহ, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, এবং মায়ানমার থেকে এ দেশে এসে ভিড় জমায়। আর সুন্দরবনবাসি জানাচ্ছে, পরিযায়ী পাখিরা আসলে তাদের ভালো লাগে এবং এই সকল পরিযায়ী পাখিরা, পরিবেশের পক্ষে অনেকটাই উপকারে আসে। অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে তাদের অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে এই সকল পরিযায়ী পাখিদের।
সুতরাং পরিবেশ বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও প্রয়োজন পড়বে। সুন্দরবনবাসীর অভিযোগ মেছো ভেড়ি সহ যে সকল জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানে মৎস্য চাষের সময় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সে কারণে একেবারে বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে এই সকল পরিযায়ী পাখিরা। আর এবছর পাখির ভিড় কম থাকায় রীতিমত মুখ ভার সুন্দরবনবাসীর(Sundarban)। তাঁরা চাইছেন আবারও আগের মত পরিযায়ী পাখিরা এসে ভিড় জমাক তাদের এলাকায়। তাহলে কি আবারও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় জমবে সেই আগের মত? নাকি আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে চলে যাবে এই সকল পরিযায়ী পাখিরা অধরা। এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে।