নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতীতে রেজাল্ট বিভ্রাট। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২০০ পেয়ে মূল্যায়ণ হয়েছে বিশ্বভারতীর এমএড পরীক্ষায়। আর সেটা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই সাফাই দেওয়া হয়নি। বক্তব্য রাখেনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আর আজই সেই বিতর্কিত রেজাল্টের তালিকা বদলে ফেলার নির্দেশ দিল কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্বভারতীর তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট জানান হয়েছে, বিতর্কিত মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে মুছে দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বদলে নতুন তালিকা প্রকাশ হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্রুত সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে।
গত সোমবারই সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর এমএড পাঠক্রমে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। আর সেখানে দেখা যায়, চার জন পড়ুয়া ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ২০০, ১৯৮, ১৫১ এবং ১৪৬ পেয়েছেন। এই রেজাল্ট কার্যত অসম্ভব বলে বলেই জানায় বিশেষজ্ঞরা। অবাক হয়ে যায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। চিন্তায় পড়ে যান সকলেই। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২০০ পাওয়ার ঘটনা ঘটে কীভাবে? আঙুল ওঠে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের দিকেই। কিন্তু কোনও জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ টেকনিক্যাল ফল্ট বলে আজ বিশ্বভারতীর তরফে রেজাল্ট সংশোধন করে সাইটে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বলে খবর।
বিশ্বভারতীতে যে কোনও বিভাগে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ করতে হলে বিগত পরীক্ষাগুলিতে প্রাপ্ত নম্বর আবেদনকারীকে দিতে হয়। আবেদনপত্রে তা জানানোর জন্য দু’টি শূন্যস্থান থাকে। একটিতে পূর্ণ মান এবং অন্যটিতে প্রাপ্ত মান দিতে হয়। কিন্তু কোনও পড়ুয়া ভুল করে পূর্ণ মানের চেয়ে প্রাপ্ত মান বেশি দিয়ে থাকলে মেধাতালিকায় এমন ভুল হওয়া সম্ভব। এমনটাই জানিয়েছেন এক আধিকারিক। যদিও এটা দেখার দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরে বিনয় ভবনে এমএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ওই পাঠক্রমটির ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি আসন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত থাকেই। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা।