নিজস্ব প্রতিনিধি: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৬ জুন। ৯ টি আসনে হবে ভোট (ELECTION)। সেই ৯ টি আসনের সবকটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি গেরুয়া শিবির। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের আগেই দেখা গেল বিজেপির এই শোচনীয় অবস্থা। তবে বিজেপির (BJP) সাফাই ৯০ শতাংশ সিটে প্রার্থী দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে এও স্বীকার করেছে, সংখ্যালঘু আসনে গেরুয়া শিবির বরাবর দুর্বল। এই স্বীকারোক্তি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন (ELECTION COMMISSION) ঘোষণা করেছিল, একই সঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সহ পুরসভাগুলিতেও হবে নির্বাচন। ২৬ জুনেই হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট। এই দিনেই হবে ২২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬২ টি আসনে ভোট। ৪ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬ টি আসনে ভোট।
মহকুমা পরিষদের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সব আসনে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। সংখ্যালঘু আসনে বরাবর দুর্বল বিজেপি। তাই অনেক আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। দাবি গেরুয়া শিবির ৯০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বলেন, প্রস্তুতির জন্য সময় পাওয়া যায়নি! দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র দেবব্রত দত্ত বলেন, বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। ওদের দাবি ছিল মহকুমা পরিষদে নির্বাচন করানো হচ্ছে। আর নির্বাচন ঘোষণা হতে সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না।
জিটিএ, পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির ভোটের আগে দেখা গেল মহকুমা পরিষদের সব আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি ‘হম্বিতম্বি’ করা বিজেপি। উল্লেখ্য, মহকুমা পরিষদের সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। গত ২৯ মে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্ধিতা করা হবে জিটিএ নির্বাচনেও। প্রসঙ্গত, জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল বিজেপি ও বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা গুরুং জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে শুরু করেছিলেন আমরণ অনশন। পঞ্চমদিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অনশনও।