নিজস্ব প্রতিনিধি, ইংলিশবাজার: বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল থামার নাম নেই। বরং সময়ের সঙ্গেই তা মুষলপর্ব হয়ে উঠছে। এবার গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মূর্মূ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের সাংগঠনিক সভায়। দলের অন্দরের লড়াই প্রকাশ্যে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। আর শত্রু শিবিরকে এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুরভোটে মালদা জেলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্ম শিবির। অন্তত সামনের বছর যাতে পঞ্চায়েত ভোটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য এখন থেকেই সংগঠন গোছানোর দিকে নজর দিয়েছেন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ধর্মশালায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মূর্মূ।
বৈঠক শুরু হতেই বিজেপি কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই গোপনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। দলের কর্মসূচি সম্পর্কে নিচুতলার কর্মীদের জানানো হচ্ছে না। পাশাপাশি সক্রিয় কর্মীদের দূরে সরিয়ে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের দলের বিভিন্ন পদে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। পরে কোনও রকমে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপস্থিত বিজেপি নেতারা। যদিও সাংসদ খগেন মূর্মূ এদিনের বিক্ষোভকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ।
তবে ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘সুবিধাবাদীদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে। পুরসভার মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলায় বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’