নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা ভোটের আগে সিএএ (CAA) কার্যকর হবে বলে ভারী ফ্যাসাদে পড়েছে কেন্দ্র বিজেপি (BJP)। বঙ্গ বিজেপি’র দাবি, এই প্রতিশ্রুতিতেই মিলেছিল কিছু সিট। বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের দাবি, সিএএ হবে দাবি করেই জুটেছিল কিছু মতুয়া সিট। তা না হলে হারাতে হবে সিট। এমন কী অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন হরিণঘাটার বিধায়ক। এবার তাঁর দাবি, সিএএ কার্যকর করার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই রাজ্যে কার্যকর হবে সিএএ।
সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সিএএ কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সে কথায় এখন বিশেষ আমল দেননি অমিত। শাহ পরামর্শ ছিল, আপাতত বঙ্গ বিজেপি আন্দোলনে মন দিক। অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটিয়ে চলুক। এর আগে বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ রাজ্য বিজেপির প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, করোনা মিটলে লাগু হবে সিএএ। দিয়ে সে যাত্রা এড়িয়ে ছিলেন এই বিষয়। রাজ্য তথা দেশে আবারও চড়ছে করোনা গ্রাফ। কেন্দ্র বিজেপি এই নিয়ে বিশেষ কথা না বললেও লাফাচ্ছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকেই কোমর বাঁধছে তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল সিএএ’র বিরোধিতা করেছে। বিরোধিতা করেছে রাজ্যবাসীর ব্যাপক অংশ। বারবার সিএএ-র বিরোধিতা করে হয়েছে আন্দোলন। তবে বিজেপি রাখতে পারেনি ‘সিএএ প্রতিশ্রুতি’। আর এতেই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে রাজ্য বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। দেখা গিয়েছে কেন্দ্র বিজেপির প্রতি অসন্তোষ। প্রশ্ন আগামী নির্বাচনগুলিতে হবে কী? তার মাঝেই এমন বক্তব্য বিধায়ক অসীম সরকারের। রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ বলছে, হাওয়ায় কথা ছুঁড়ছেন ‘টলমল’ অসীম।