এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লক্ষ্যই ‘অর্ধেক’, অধিকারীদের জেলায় রাশ আলগা গেরুয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি: লড়াই শুরুর আগেই কী হার মেনে নিল গেরুয়া শিবির? নাকি জেলায় রাশ আলগা হতে শুরু করে দিল পদ্ম শিবিরের? প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেল। কেননা চ্যালেঞ্জ জানাতে যে সভার ডাক দেওয়া হয়েছে সেই সভায় জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রাই রাখা হয়ে কিনা প্রতিপক্ষের হয়ে যাওয়া সভায় যে জমায়েত হয়েছিল তার অর্ধেক! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কার্যত দলের এই বেহাল চিত্র গেরুয়া শিবিরকেই বড়সড় অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছে। কেননা সভা তো আর যেখানে সেখানে হচ্ছে না। সভা হচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিজের শহরে। অথচ সেখানেই কিনা জমায়ের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে প্রতিপক্ষের সভায় হাজির হওয়া জনতার অর্ধেক সংখ্যাটিকে। তাহলে কী জেলায় দলের রাশ আলগা হচ্ছে? প্রশ্নের মুখে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। প্রশ্নের মুখে খোদ শুভেন্দু অধিকারীও(Suvendu Adhikari)।

আরও পড়ুন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নয়া আচরণবিধি আনল পর্ষদ, নেপথ্যে বিচারপতির মন্তব্য

মাত্র ১৭ দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার অন্যতম মহকুমা শহর কাঁথিতে(Contai) সভা করে গিয়েছেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এই কাঁথি শহরেই বাস অধিকারীদের। তাঁদের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ থেকে মেরেকেটে ২০০মিটার দূরে অভিষেকের সেই সভায় লখাধিক মানুষের জমায়েত হ্যেছিল প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে। সেই সভা থেকেই মিনিটে মিনিটে নাম না করেই শুভেন্দু সহ অধিকারীদের আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই দলের দরজা ৫ সেকেন্ডের জন্য খোলার বার্তা যেমন তিনি দিয়ে গিয়েছেন তেমনি ‘উলঙ্গ’ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন। সেই সভারই পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। ২১ ডিসেম্বর মানে আগামিকাল সেই সভা হওয়ার কথা। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসাবে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভা তাঁর নিজ শহরে। কিন্তু সেই সভাতেই কিনা বিজেপির তরফে জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার। কেন জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা অভিষেকের সভায় জমায়েতের তুলনায় অর্ধেক? এই প্রশ্নই এখন উঠে গিয়েছে?

আরও পড়ুন এমন লোকও আছে তৃণমূলে, তাজ্জব বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউ বলছেন এটা দলের কাঁথি মণ্ডলের নেতারা দেখছেন। কেউ বা বলছেন কাঁথি শহরের বিজেপি নেতারা দেখছেন। কেউ বা বলছেন এটা নাকি স্বয়ং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দেখছেন। যে দেখুক প্রশ্ন হচ্ছে, ১ লক্ষ বা তার বেশি জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা হাঁকিয়ে তা আর পূরণ করা যাবে না বলেই কী ৫০ হাজারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সভায় আসা মানুষের সংখ্যা? কাঁথির বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তাঁরা অভিষেকের পাল্টা সভার ডাক দেওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই ওই সভায় যাতে বিজেপির নেতা থেকে কর্মী মায় সমর্থকেরা না আসতে পারেন তার জন্য ভয় দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে হুমকি-ধমকি। শুধু তাই নয়, ওই সভা বানচালের চেষ্টা করছে শাসক শিবির। ঠিক যেমনটা করা হয়েছিল ডায়মন্ডহারবারে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে তোরণ, ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে সভার প্রচারের জন্য লাগানো ফ্লেক্স পোস্টার। বিজেপির নেতারা অবশ্য এত কিছুর পরেও বেশ জোর গলায় দাবি করছেন, ‘শুভেন্দুর সভা ঘিরে কোনও বাধাই ধোপে টিকবে না। যত বাধা আসবে, ততই আমরা এগিয়ে যাব। আমাদের টার্গেট ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক জমায়েত করা। তবে তার থেকে অনেক বেশি মানুষ আসার সম্ভাবনা আছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে লোক আসবে সভায়।’ কিন্তু কাঁথির লোক? পূর্ব মেদিনীপুরের লোক? তাঁরা কী আসবেন না? এই প্রশ্নের উত্তরেই ধাক্কা খাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। পরোক্ষে তাঁরা মেনেই নিচ্ছেন, ভিন জেলা থেকে লোক এনে সভা ভরানো হবে। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কী জেলায় কমছে অধিকারীদের দাপট আর প্রভাব? শুভেন্দুতে কী আস্থা হারাচ্ছেন তৃণমূল বিরোধীরা? নাকি অনাস্থা গেরুয়া শিবিরের ওপর?

আরও পড়ুন ৫০০ টাকাতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেবে রাজ্য সরকার

তৃণমূলের কিন্তু জোর দাবি, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফেরানো শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা চোখের সামনে দেখছেন সমবায়ের ভোটে কী ভাবে রাম-বাম হাতে হাত মিলিয়ে চলছে। এই জেলার মানুষ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম দেখেছেন। খেজুরি দেখেছেন। পটাশপুর দেখেছেন। তাই বামেদের হাত ধরা বিজেপিকে তাঁরা আর রেয়াত করবেন না। তাছাড়া শুভেন্দুর সভা হবে যে মাঠে সেখানে মেরেকেটে ১০ হাজার লোক ধরবে। লোক বেশি হয়েছে দেখানোর জন্যই ছোট মাঠ বাছা হয়েছে সভার জন্য। আমাদের তো ভয় সেখানে আসানসোলের মতো পদপিষ্টের ঘটনা যেন না ঘটে। এমনিতেই তো শুভেন্দু বলে রেখেছেন ২১ ডিসেম্বর নাকি কিছু হবে! আমজনতাকে বলব বিজেপির থেকে দূরে থাকুন। শুভেন্দুর থেকে দূরে থাকুন। সভা থেকে দূরে থাকুন। অভিষেকের সভার সঙ্গে শুভেন্দুর সভার কোনও তুলনাই চলে না। বিধানসভায় ৭টা আসন পেয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি ৭টা ওয়ার্ডেও জেতেনি, এটা মনে রাখবেন। পঞ্চায়েতের ভোটেও দেখবেন ৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতও পাবে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২ মাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে দিতে হবে চাকরি, প্রাথমিকে নিয়োগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

কী কাণ্ড! প্রচারে বেরিয়ে গাড়ি থেকে কাঞ্চনকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

রাজবংশী ভোট উদ্বেগে রাখছে পদ্মশিবিরকে, ভাবাচ্ছেন অনন্ত মহারাজ

২ বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উল্টে গেল টোটো, নিহত ৩ যুবক, আহত ২ যাত্রী

ভোটের আগেই ভিন্ন চিত্র , বিজেপি কর্মীর বাড়িতে  মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তৃণমূল বিধায়ক

উজ্জলা যোজনা প্রকল্পের গ্রাহকদের ঘিরে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্বই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর