নিজস্ব প্রতিনিধি: ধসের ঘটনায় মৃত্যু হওয়া বাংলার ১০ ও সিকিমের ১ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ ফিরল বাগডোগরা বিমানবন্দরে। মণিপুরের ননে জেলায় ধসের ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে এ রাজ্যের যে ১০ জওয়ান রয়েছেন তাঁরা যথাক্রমে দার্জিলিঙের বাসিন্দা মিলন তামাং, দিনকর থাপা, বেঞ্জামিন, মার্কাস গুরুং, সীতারাম রাই, বিশাল ছেত্রী, বেধিয়ান রাই, ভূপেন রাই, লাডুপ তামাং এবং জলপাইগুড়ির বাসিন্দা শঙ্কর ছেত্রী। এ ছাড়া সিকিমের বাসিন্দা শেরিং লেপচা নামে এক জওয়ানের দেহও রয়েছে। শনিবার বাগডোগরার সেনা ক্যাম্পে নিহত জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শনিবার বিমানে করে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আনা হয় ১১ জন জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। বিমান থেকে নামানোর পর দেহগুলি বাগডোগরার সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিহত জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন নিহত জওয়ানদের দেহ নিতে সেনাক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাতে মণিপুরের ননে জেলায় টুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে নির্মাণস্থলের কাছে ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ক্যাম্পে ধস নামে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছেন এ’রাজ্যের ১১ জওয়ান। শনিবার সকালে কফিনবন্দি হয়ে রাজ্যে আসে বাংলার ১০ জওয়ান ও সিকিমের ১ জওয়ানদের দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে মণিপুরের মণিপুরের নোনে জেলায় টুপুল রেল স্টেশনে রেললাইন পাতার কাজের সময় সেখানকার নিরাপত্তার কাজে কর্মরত ছিলেন নিহত জওয়ানরা। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে সেই ধসের ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বহু জওয়ান। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, অসম রাইফেলস ও টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানরা। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন বহু। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।