নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে বাড়ছে কোভিডের প্রকোপ। তার জেরে আগেই রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র যেমন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেমনি রাজ্যের সব সংরক্ষিত বন ও অভয়ারণ্যেও পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই সব সংরক্ষিত বন, জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে থাকা রাজ্য বন দফতরের যাবতীয় পর্যটন আবাসগুলিতে বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও জঙ্গলগুলিতে বন দফতরের যেসব পর্যটক আবাস ও বাংলো রয়েছে সেই সবকটিতেই বুকিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। এমনকী পুরনো যে সমস্ত বুকিং রয়েছে, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে কোভিডের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন আবার এই সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করা হবে বলে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বনদফতরের প্রধান সচিবের বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শীতের মরশুম মানেই ঘুরে বেড়ানোর মরশুম। আর এই সময়েই রাজ্যের জঙ্গলগুলিতে ভিড় বাড়ে পর্যটকদের। সুন্দরবনের পাশাপাশি ভিড় জমে ডুয়ার্সের জঙ্গলেও। কিন্তু এখন যে হারে কোভিড বাড়ছে তা দেখে আগেই জঙ্গলগুলিতে পর্যটকদের জঙ্গল সাফারিতে রাশ টানা হয়েছিল। এবার বনবাংলোর পাশাপাশি পর্যটক আবাসেও বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। এই বিষয়ে এদিন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘যেভাবে করোনা ক্রমশ বাড়ছে তাতে বনবাংলোগুলিতে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। কেননা একজন পর্যটক বাংলো ছেড়ে দেওয়ার পর অপর পর্যটক সেখানে থাকতে আসেন। এর ফলে বাংলোতে থাকা আধিকারিক হোক বা বনকর্মী কিংবা পর্যটক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকছে। সে কারণেই আপাতত বনদফতরের বাংলোগুলিতে কোনও পর্যটককে থাকতে দেওয়া হবে না। কোনও বুকিংও বনদফতর নেবে না।’