নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর শেষের দিনেই বড় দায়িত্ব গ্রহণ। রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব(Chief Secretary) হলেন ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, যাকে অনেকেই বি পি গোপালিকা(B P Gopalika) নামেই চেনেন। এর আগে, গোপালিকা ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব(Home Secretary)। সেখান থেকেই এদিন তিনি পদন্নোতি পেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হলেন। উল্লেখ্য, তাঁর এই নিয়োগ নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের তরফে। ১৯৮৯ সালের ব্যাচের IAS Officer গোপালিকা। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জায়গায় তাঁকে এদিন মুখ্যসচিব পদে নিযুক্ত করা হল। এর আগে, রাজ্যের পরিবহণ, প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব ছিলেন গোপালিকা। তাঁকেই এবার মুখ্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হল। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদে গোপালিকার কার্যকালের মেয়াদ হবে খুবই কম সময়ের। কেননা আগামী বছরই তাঁর অবসরের দিন রয়েছে।
২০২১ সালে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসরের পর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই সময় স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ছিলেন গোপালিকা। তার আগে প্রাণীসম্পদ, পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন। এদিন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর অবসর নিয়েছেন। তাই এদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন গোপালিকা। সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ মে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। রবিবার নবান্নে বিদায়ী মুখ্যসচিবের থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর উত্তরসূরি। গোপালিকা বাম জমানায় রাজ্য প্রশাসনে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানাতে যেমন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানাতে মুখ্যসচিব পর্যন্ত পৌঁছেছেন নিজের কর্মদক্ষতার কারণেই, এমনটাই মত রাজ্য প্রশাসনের একাংশের।