নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিযোগ ছিল, মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার গরমিল হয়েছে (প্রথম দু’ই ত্রৈমাসিক রিপোর্ট, ২০২২)। তার পাল্টা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (BRATYA BASU)। তাঁর দাবি, রাজ্যের দেওয়া হিসেবে কোনও ভুল নেই। আরও দাবি, দুর্নীতি নয়, হয়েছে সাশ্রয়।
যৌথ পর্যালোচনা মিশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা এসেছিল বঙ্গে। খতিয়ে দেখেছিল একাধিক প্রকল্পের কাজ। তারপরেই মিড ডে মিল নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছিল। সেই মিশনের চেয়ারম্যানকে এবার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মিশনের প্রকাশ করা রিপোর্টের জবাবদিহি চাইলেন।
নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে মন্ত্রী লিখেছেন, কেন্দ্রের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার নয় ছয় দূর অস্ত। বরং সাশ্রয় হয়েছে ১৮.৮ কোটি। বলা হয়েছে, ওই রিপোর্টে রাজ্যের একমাত্র প্রতিনিধির সই নেই। জবাবদিহি চেয়ে মন্ত্রী’র কটাক্ষ, ‘অযথা চায়ের কাপে তুফান’। কেন্দ্রের এই রিপোর্টকে ‘অপদার্থতা’ও বলেছেন মন্ত্রী। কটাক্ষপূর্ণ ট্যুইটের শিরোনাম, ‘মিড ডে মিল প্রসঙ্গ: রটনা ও ঘটনা’।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর (৬ মাস) পর্যন্ত ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। অথচ জেলা থেকে রাজ্যের কাছে পেশ করা হিসেব ছিল, ৬ মাসে ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। ‘দুর্নীতি’, ‘গরমিল’- এর অভিযোগ উড়িয়ে তারই জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।