নিজস্ব প্রতিনিধি: আচমকাই বৌদির গলায় দা দিয়ে কোপ বসালেন দেওর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ভোটপাড়া এলাকায়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ধূপগুড়ি ব্লকের ভোটপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিখিল রায়ের সাথে বিয়ে হয় সরস্বতী রায়ের। কিন্তু প্রায় বছর পাঁচেক আগে নিখিল রায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে স্বামীর বাড়িতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মায়ের সাথে থাকেন সরস্বতী দেবী। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র দেওর সুনিল রায়ের সাথে মাঝে মাঝে কিছু বিষয়ে ঝামেলা হয়। সেই কারণে দেওর বাড়িতে থাকতো না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরস্বতী দেবী ধূপগুড়ির কালিপূজার মেলায় যাবেন বলে রেডি হচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই বাড়তে ঢুকে সরস্বতী রায়ের গলায় দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেন দেওর। দায়ের আঘাতে জখম সরস্বতী দেবী।
স্থানীয়দের বক্তব্য় অনুসারে, মাঝে মধ্যেই নিখিলের ভাই সুনীল রায় সরস্বতী দেবীর বাড়িতে চড়াও হত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৌদির সঙ্গে অশান্তি করত সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেমন ঘটনাই ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। এখন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সরস্বতীর। তবে তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
এদিকে বৌদিকে কোপ বসানোর পর পালিয়ে গেছে দেওর। অন্যদিকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যান ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গাসহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি ধূপগুড়ি হাসপাতালেও যান পুলিশ কর্মীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।