এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বঙ্গ বিজেপির ‘মাসোহারা’ বন্ধ করে দিলেন নাড্ডা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার বার বার অভিযোগ তোলে যে কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে পাঠানো টাকা কোথায় কীভাবে খরচ করা হচ্ছে তার কোনও হিসাব দেয় না নবান্ন। বার বার সেই হিসাব চেয়ে পাঠালেও নাকি তা দেওয়া হয়নি। কিন্তু যারা নিজেরা বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছেন তাঁরা নিজেরা কেমন? তাঁদের দলের নেতারাও তো একই রোগে ভুগছেন। আর ভুগছেন বলে এখন কী সুন্দর ‘দাওয়াই’-ও পাচ্ছেন। বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) ‘মাসোহারা’ বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে অন্তত তেমনটাই জানা গিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে টাকা বঙ্গ বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে বিগত ৩ বছরে তার কোনও হিসাবই নাকি দিতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর তার জেরেই ‘মাসোহারা’(Monthly Salary) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাড্ডা।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বঙ্গ বিজেপিকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা পাঠিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যখন যে টাকা চেয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব, তখনই সেই টাকা পাঠানো হয়েছে দিল্লি(Delhi) থেকে বাংলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ও ভোটের সময়ে সেই প্রক্রিয়া কার্যত সুনামির আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু কোটি কোটি টাকা পাঠানো হলেও সেই টাকা কোন খাতে কার মাধ্যমে কেন খরচ করা হচ্ছে তার কোনও হিসাবই রাখেনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর এখন যখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের তহবিলের অডিট(Audit) করাতে শুরু করেছেন তখন বঙ্গ বিজেপির তরফে না কেউ কোনও হিসাব দিতে পাচ্ছে না কোনও ফর্দ দেখাতে পারছে। আর সেই কারণে হিসাব মিলছে না খোদ বিজেকির কেন্দ্রীয় তহবিলের অডিটেও। আর এই সব কারণেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা(J P Nadda) নির্দেশে বঙ্গ বিজেপির ‘মাসোহারা’ বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তার জেরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছ সব ফুটুনিও। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির মাসোহারার ব্যবস্থা এখন নাকি নিজের পকেট থেকে যুগিয়ে চলেছে তৃণমূল ছুট এক দলবদলু নেতা।

তবে তারপরেও বঙ্গ বিজেপিতে এখন ত্রাহি মাম ত্রাহি মাম দশা শুরু হয়ে গিয়েছে ‘মাসোহারা’ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। কেননা দিল্লি থেকে টাকার থলি না আসায় দলের রাজ্যে নেতৃত্ব এখন জেলা নেতৃত্বকে কোনও আর্থিক সাহায্যই করতে পারছে না। সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে নাড্ডা যে রাজ্য সফরে এসেছিলেন তার খরচও নাকি মেটাতে পারছে না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজারহাটের অভিজাত হোটেলের বিল বকেয়া। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে খানাপিনার আয়োজক ছিলেন যাঁরা, তাঁরা টাকা পাননি। প্রায় প্রতিদিনই পাওনাদাররা রাজ্য অফিসে এসে তাগাদা দিচ্ছেন বকেয়া টাকার জন্য। পাশাপাশি রাজ্য পার্টির একাধিক উইং কয়েক লক্ষ টাকা বিল ধরিয়ে বসে রয়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে কোনও বিলই ছাড়া হচ্ছে না। নেতাদের গাড়ির বিল, চালকদের বেতন সহ হাজারো দেনার দায়ে জর্জরিত বিজেপির রাজ্য কমিটি। এভাবে চললে যে ২০২৪ এর লড়াইটা মাঠে নেমেও লড়া যাবে না সেটা বিলক্ষণ জানেন পদ্মপার্টির নেতারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর