নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাজ্য বিধানসভা ভবনে(West Bengal State Assembly) পেশ হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট(State Budget)। সেই বাজেটে যে সব ঘোষণা করা হয়েছে তা দেখে অনেকেই দাবি করছেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) দিকে তাকিয়েই ওই বাজেটে নানা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে যার লাভটা সরাসরি গ্রাম বাংলার মানুষ বেশি করে পাবেন। ঘটনাচক্রে এদিন বিকালেই আবার কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানিয়ে দিল আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও ঘোষণা করা যাবে না। কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাও যাবে না।
আরও পড়ুন লক্ষীর ভাণ্ডার প্রাপকদের ৬০ বছর পার হলেই মিলবে বার্ধক্য ভাতা
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয় ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক।
আরও পড়ুন ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার পরেই উৎসবে মাতলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা
গতবছর ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ ওই মামলা শুনানির জন্য ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ঘটনাচক্রে ৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি। পরিবর্তে এদিন মামলাটির শুনানির দিন ধার্য হয়। আর এদিনই বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকি সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারিও করতে পারবে না কমিশন। তবে এদিনের অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশের পরেও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বড় কোনও জটিলতা দেখা যাচ্ছে না। কেননা ভোট গ্রহণের ২৮ দিন আগেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা যায়। তাই মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে গেলে এপ্রিল মাসে দিনক্ষণ ঘোষণা করলেই হবে।