এই মুহূর্তে

জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের, নির্দেশ রাজ্যকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম(Singur-Nandigram) পর্ব দেখেছেন গোটা দেশের মানুষ। ৩৪ বছরের একটি সরকারের পতন এবং নতুন একটি সরকারের আগমনও দেখেছেন তাঁরা। তা নিয়ে বিতর্ক যে পুরোপুরি থেমে গিয়েছে তাও নয়। এর মধ্যেই এবার কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) সেই জমি অধিগ্রহণ এবং অধিগৃহিত জমির জন্য জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে দিল। তাতে রাজ্যের বুকে সব ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক থেকে গেলেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা অনেকটাই কেটে গেল। কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, রেল বা জাতীয় সড়ক নির্মাণের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নতুন আইন মানতে হবে। ওই আইন অনুসারেই দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। আর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুন বলি আসছো কে কে, দরজা খুলছে ৫ সেকেন্ডের জন্যে

ঠিক কী হয়েছে? কেন্দ্রের নতুন আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েক জন জমির মালিক। তাঁদের অভিযোগ, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য তাঁদের জমি নিয়েছে রাজ্য সরকার। কার্যত অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই জমির দাম নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি রাজ্য সরকার। তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই ওইসব জমির দাম ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। আলোচনা করে বা কেন্দ্রের নতুন আইন মেনে জমি নেওয়া হলে তাঁরা তাঁদের জমির দাম আরও বেশি পেতেন। সেই বাড়তি দাম পাওয়ার লক্ষ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানি শেষেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।

আরও পড়ুন জুজুর নাম ইনকাম ট্যাক্স, বাংলায় সাড়ে ৩ বছরে ৩৭৪টি হানাদারি

হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে কেন্দ্রের নতুন আইন মেনেই জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ওই আইন অনুযায়ী জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ-সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এমনকি, আগে অধিগ্রহণ করা জমির দাম এখনও মেটানো না হলে, সে ক্ষেত্রেও নতুন আইন মেনে চলতে হবে। মামলাকারী জমিদাতার অভিযোগ শুনতে হবে অধিগ্রহণকারীকে। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে আলোচনা করে ৬ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ-সহ যাবতীয় বিষয়ে সমাধান বের করতে হবে। এই রায়ের জেরে মামলকারীদের তরফে অরিন্দম দাস জানিয়েছেন, ‘আদালতের এই নির্দেশ রাজ্যে দীর্ঘ দিনের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতাগুলি কাটাতে সাহায্য করবে। কারণ, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও রাজ্যে যে হেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি হয়নি ফলে সমস্যা ছিল। হাইকোর্টের এই নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার।’

আরও পড়ুন বাড়ির কাজের লোকের মাইনে ঠিক করে দেবে মমতার সরকার

কথা হচ্ছে আদালতের এই রায় সিঙ্গেল বেঞ্চের। রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করতেই পারে। এমনকি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বজায় থাকলে অন্তত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান নিয়ে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু রাজ্যের প্রকল্প বা বেসরকারি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যে জটিলতা বাংলার বুকে দেখা গিয়েছে তা নিয়ে তো কোনও সমাধান সূত্র বার হল না। সেই সূত্র থাকলে টাটাদের(Ratan Tata) সিঙ্গুর ছড়ে যেতে হতো না। আবার এখনকার সরকার কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করন না, এমন কথাটাও বলতে পারত না। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের প্রতি বাংলার আমজনতার সমর্থন ব্জায় থাকার একটা বড় কারণই তাঁরা জোর করে জমি অধিগ্রহণ না করার ক্তহা দিয়েছিলেন এবং অক্ষরে অক্ষরে তা তাঁরা মেনে চলেছেন। যদিও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তাতে কী শিল্পের সম্ভাবনার জায়গাটি ধাক্কা খাচ্ছে। বাম হোক কী বিজেপি বার বার কিন্তু তাঁরা তৃণমূলকে বিঁধছে এই ইস্যুতেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদন খারিজ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসো’ বলে কটাক্ষ দিলীপের

দইয়ের পর এবার হুগলীর ঘুগনিতে মুগ্ধ রচনা, খেলেন আবার খাওয়ালেনও

‘ভগবানের’ প্রার্থীপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের, নেপথ্যে মৃত্যু কামনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর