নিজস্ব প্রতিনিধি: সায়গল হোসেনের (SAIGAL HOSSAIN) আরও এক ফ্ল্যাটে অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডলের (ANUBRATA MONDAL) দেহরক্ষী সায়গল। তাঁর বোলপুরের ফ্ল্যাটে বুধবার অভিযান চালায় সিবিআই। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ চালানো হয় তল্লাশি। খুঁজে দেখা হচ্ছে নথি বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এর আগেও তাঁর একাধিক বাড়ি- ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল সিবিআই। খবর লেখা পর্যন্ত জারি ছিল তল্লাশি।
বুধবার দিন সায়গল হোসেনের বোলপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে তাঁর ডোমকলের বাড়ি ও নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। গরু পাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁরই নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন। বুধবার বোলপুরের কাশীপুর মোড়ের কাছের ফ্ল্যাটে চালান হয় তল্লাশি। এর আগে সায়গলকে ৫ বার জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপর করা হয়েছে গ্রেফতার।
উল্লেখ্য, ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের রমনা এতবার নগরে। তবে সেই বাড়ি এখন জনমানস শূণ্য। থমথমে প্রাসাদ প্রমাণ অট্টালিকা। ঝুলছে তালা। জানা গিয়েছে, আয়ের সঠিক হিসাব দিতে না পারায়, গ্রেফতার করা হয়েছে সায়গলকে। তিনি ডোমকলে একাধিক জায়গা কিনেছিলেন। কিনেছিলেন বাড়ি, গাড়ি। অভিযোগ, বেনামেই বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন সায়গল।
অভিযোগ, গরু পাচারের লেনদেন হত সায়গলের হাত ধরেই। গত ১ জুন ও ২ জুন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সায়গলকে। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচার কাণ্ডে সায়গল জড়িত। এই বিষয়ে একাধিক তথ্য আছে তাদের কাছে। একজন নিরাপত্তারক্ষী কী করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, হিসাব বহির্ভূত স্মপত্তি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, ধৃতের নামে রয়েছে বোলপুর এবং ডোমকলে ২ টি বিলাসবহুল গাড়ি। রয়েছে ডোমকলে একাধিক জায়গা। যার দর কয়েক কোটি টাকা। নিউটাউনে ৩ টি ফ্ল্যাটেরও খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকার গয়না।