এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তপন কান্দু খুনের ঘটনায় জেরা শুরু সিবিআইয়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চার বারের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) খুনের ঘটনায় সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মতো সিবিআইয়ের একটি টিম ঝালদায় গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সেই তদন্তের স্বার্থেই খুনের ঘটনার ৩ সাক্ষীকে যেমন ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তেমনি এই ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন ঝালদা থানার আইসি(IC) সঞ্জীব ঘোষকেও ডেকে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে এই ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকদের যাতে কোনওরকম বাধা বিপত্তি ও বিপদের মুখে পড়তে না হয় তার জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।

শুক্রবার সকালেই ঝালদা ফরেস্ট গেস্ট হাউসে তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা ঝালদার এই গেস্ট হাউসেই যেমন রয়েছেন তেমনি এখানেই তাঁদের এই তদন্তের জন্য অস্থায়ী কার্যালয় খুলেছে। সেই কার্যালয়েই এদিন নিয়ে আসা হয় তপন কান্দু খুনের ঘটনার ৩ প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই, প্রদীপ চৌরাসিয়া ও যাদব রজককে। এখানেই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করছে সিবিআই। এদিন তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করতে চায় সিবিআই। একই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিপিএমের ঝালদা এরিয়া কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল চট্টরাজকেও। কেননা, সিবিআই জানতে পেরেছে ঘটনার দিন অর্থাৎ  ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ ফোন করেছিলেন উজ্জ্বল। সেদিন দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।

একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষকেও এদিনই জেরা করতে পারেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার রাতেই সিবিআই আধিকারিকেরা তপন কান্দুর পরিবারের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন। সেই সময় তাঁরা তপনবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও তপনবাবুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনার দিনের কথা, তপন কান্দু কোথায় ছিলেন, কখন তাঁরা তপনবাবুর আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারেন-ইত্যাদি বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা খোঁজ নেন। যদিও সিবিআই আধিকারিকেরা বেরিয়ে গেলে তপন কান্দুর পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই এই খুনের ঘটনায় তদন্তে নামা সিবিআই আধিকারিকদের নিরাপত্তার জন্য ১৫ জন সিআরপিএফ(CRPF) জওয়ান মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের পাহারায় থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি সিবিআই টিমকে তদন্তের স্বার্থে যেখানে যেখানে যাবে, তাঁদের সঙ্গে যাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্তকারীরা যতগুলি দলে বিভিন্ন জায়গায় তদন্তে যাবেন, জওয়ানরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কর্তাদের সঙ্গে যাবেন। ঝালদায় বন দফতরের যে বাংলোয় সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করেছে সেখানেও কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন থাকবেন।

একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ঝালদা শহরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ঘটনার দিন ঝালদা শহরে কারও কোনও সন্দেহভাজন গতিবিধি ধরা পড়েছে কিনা সেটাই তাঁরা দেখতে চাইছেন। সেই সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের একটি টিম ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছে মূল সুপারি কিলারদের সন্ধানে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

মেদিনীপুরের মাটি থেকে ‘গদ্দার’দের তীব্র আক্রমণ মমতার

‘সাংসদকে সরালেন কেন’ প্রার্থী বদল নিয়ে খোঁচা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর