নিজস্ব প্রতিনিধি: পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন তপন কান্দু (TAPAN KANDU)। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। আদালতে জমা করা চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, ভোটে জেতা নিয়ে তপন কান্দু ও তাঁর দাদা নরেন কান্দুর করা বাজির কথাও। সেই বাজি হয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকার। উল্লেখ্য, মার্চ মাসের ১৩ তারিখে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়।
সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, ভোটে কে জিতবে তা নিয়ে তপন কান্দু এবং নরেন কান্দুর মধ্যে বাজি হয়েছিল। বাজি হয়েছিল ৪ লক্ষ টাকার। কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সুপারির অঙ্কের পরিমাণ ছিল ৬০ লক্ষ টাকা। আদালতে জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল এই হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (KOLKATA HIGH COURT)।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রসঙ্গত, তপন কান্দু খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। তাঁর রহস্যমৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরের কাছেই সুপারি কিলারদের হাতে খুন হন তপন কান্দু। ঘটনার সময় তপনবাবুরব সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব৷ কার্যত তাঁর চোখের সামনেই দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে তপনবাবুকে। নিরঞ্জন বৈষ্ণব ছিলেন এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী।
মার্চ মাসের ১৩ তারিখে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। মোট ৩টি গুলি লাগে তপনবাবুর শরীরে। এর মধ্যে একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। রাঁচির হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর খুন হয়ে যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
প্রসঙ্গত, প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছিল তপন কান্দু মামলা। সেই মামলা শুরু করেছিল পুলিশ (POLICE)। ঘটনার পরের দিনেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন ছিল ১৩ মার্চ। ১৪ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। গত ১৯ মার্চ আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিলেন পূর্ণিমা। গত ৪ মে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন সুভাষ।