নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা ও ব্যারাকপুর : ট্রাক চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠল RTO-র বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাজ্য সড়কের ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ ট্রাক চালকদের। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের জেরে দেখা দিয়েছে রাজ্য সড়কে(State High Way) তীব্র যানজট। বিক্ষোভে সামিল হয় এলাকার মানুষেরাও। অভিযোগ একটি ১৬ চাকা ট্রাক আয়রন মাটি নিয়ে বাঁকুড়া থেকে হলদিয়া যাচ্ছিলো । সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার বনকাটি এলাকায় ঐ ট্রাক চালককে চালান দেখাতে বলে।
আহত চালকের নাম ইরফান শেখ(Irfan Sk.)। চালকের অভিযোগ “গাড়ির নম্বর প্লেটে কাপড় জড়ানো ছিল, আমাকে চালান দেখাতে বলে। চালান না দেখানোয় আমাকে মারধর করে। তাদের দাবি ওই গাড়িটি ছিল RTO দের । আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার(Pachim Medinipur District) গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা লাগোয়া রাজ্য সড়কের বনকাটা(Bankata) এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের জেরে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দীর্ঘ আলোচনার পর অবরোধ উঠে যায়।
এদিকে,বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ব্যারাকপুর পুরসভার(Barrackpore Municipality) ৬নং ওয়ার্ডের শ্যামশ্রী পল্লী(Shymashree Pally) এলাকা। জানা গিয়েছে শ্বেতা ভট্টাচার্যের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল শ্যামশ্রী পল্লী এলাকার সুমিত বিশ্বাস নামে এক যুবকের। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে প্রেম এই সম্পর্কে ধীরে ধীরে অন্য মাত্রায় পৌছে যায় তাদের।দুই বাড়ি তরফে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও শ্বেতার অভিযোগ তার সাথে সুমিত বিশ্বাস একাধিকবার জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করলেও বর্তমানে সে তাকে বিয়ে করতে রাজি নয়।বর্তমানে সুমিত তার প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করছে।এমনকি সুমিতের অন্য এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে। এমনকি শ্বেতার আরো অভিযোগ এর আগেও বহুবার জোর করে সুমিত তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে এমনকি তাকে মারধোর করেছে।যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে সুমিত বিশ্বাস। তার দাবি এরকম কোন সম্পর্ক তাদের মধ্যে ছিল না।
আমাকে ফাঁসানোর জন্যই মিথ্যে তত্ত্ব তুলে ধরা হছে।যদিও শ্যামশ্রী পল্লী এলাকার তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখার্জী বলেন, আমি ঘটনাটি আগেই জেনেছি। আমি দুপক্ষকে নিয়েই আলোচনায় বসেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময় কেউ আমাকে কোন কথা জানায়নি। যদিও রীতিমত মান সম্মান খুঁঁইয়ে ঘটনার পরেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে এসেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শ্বেতা।স্থানীয় কাউন্সিলরের তৎপরতায় তড়িঘড়ি থাকে ব্যারাকপুর বিএন বস মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টিটাগড় পুলিশ(Titagar P.S.)। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে সুমিত ও তার মাকে বিশেষ নজরে রেখেছে পুলিশ।