এই মুহূর্তে




‘কাউকে ছাড়া হবে না’, বাংলায় ধর্ষণকাণ্ডে জিরো টলারেন্স মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে দুর্গাপুর গণধর্ষণ কান্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সেই মতো কাজ করছে। ঘটনাটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আবারও একবার বাংলায় জিরো টলারেন্সের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেসরকারি কলেজের ঘটনা, পুলিশ দেখছে। কোনও ঘটনা ঘটলে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখি। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা, তাই তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত। রাতে ছাত্রীদের বাইরে বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। পুলিশ তো বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না। যারা হোস্টেলে থাকেন তাদের কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। কাউকে ছাড়া হবে না, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।” ধর্ষণের মতো ঘটনা যে কোনও রাজ্যের জন্যই অত্যন্ত মর্মান্তিক। সেই কথাই রবিবার ফুটে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে।

তাঁর কথায়, ” ধর্ষণ অন্য রাজ্যে ঘটলেও তা সমানভাবে নিন্দনীয়। মনিপুর, উত্তর প্রদেশ, ওড়িষার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক। আমাকে একটা রিভিউ মিটিংয়ে বসতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় ফিরে আসব। পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতাল বা কলেজে যাঁরা পড়তে আসছেন তাঁদের একটু সতর্ক হতে হবে। পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখেছে।”

শনিবার সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি এও বলেছিলেন যে দোষীদের খুঁজে বের করে উত্তরপ্রদেশের মতো এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন ঠিকই, কিন্তু বিরোধী দলনেতার বক্তব্য নিয়ে কিছু বলেননি।

তরুণী ওড়িশার বাসিন্দা। দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার জন্যই আসা তাঁর। জানা গিয়েছে, কলেজের পিছন দিকের একটি জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ পুলিশ স্টেশনে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর মা বাবা।  তাঁরা বলেছেন, মেয়েটির বাইরে খেতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু সহপাঠীই তাঁকে জোর করেছিলেন ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে। সবথেকে বড় কথা হল, অভিযুক্তরা নির্যাতিতার ফোন থেকে কল করে সঙ্গী সাথীদের ডেকে পাঠায়। তারপরেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। শনিবার সারাদিন কলেজ লাগোয়া জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ফরেনসিক নমুনাও জোগাড় করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অপু বাউড়ি, শেখ ফিরদৌস এবং শেখ রিয়াজউদ্দিনকে। মূল অভিযুক্ত সফিকুল শেখ এখনও পলাতক। প্রত্যেকেই বিজড়া বাউড়িপাড়া এবং ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

BLO দের সহায়তার জন্য দেওয়া হচ্ছে সহকারী, ফর্ম ডিজিটাইজেশন নিয়ে ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন

কথা দিয়েও বেহালা পশ্চিমের জনতা দরবারে গেলেন না, জেলমুক্তির এক সপ্তাহ পরেও গৃহবন্দি পার্থ

শিবপুরে শুট আউট, আবাসনে ঢুকে মহিলাকে গুলি

বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার BLO’র দেহ, চাঞ্চল্য এলাকায়

সপ্তাহের মাঝেই শিয়ালদহ ডিভিশনে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, রইল তালিকা

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ