নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতির হানায় (Elephant Attack) জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাধ্যমিক ছাত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মাধ্যমিক পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত। বন অঞ্চলে থাকা পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এদিন বিশেষ বাস চালানোরও নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা দফতরকে বলেছি, বনাঞ্চল এলাকায় যারা থাকে পরীক্ষার সময় বাসের ব্যবস্থা করতে। যাতে পরীক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে না হয়।’ পাশাপাশি পুলিশ ও বন দফতরকে সবসময় নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে সাধারন মানুষের প্রাণ রক্ষা পায় এই ধরণের ঘটনা থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর থেকে মর্মান্তিক ঘটনা কিছু হতে পারে না।’ মৃত ছাত্রের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ও পাশে দাঁড়াতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে তার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলপাইগুড়ির ডিএম এবং গৌতম দেব নিহত ছাত্রের বাড়িতে যান এদিন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অর্জুন দাস (Arjun Das) নামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাবার সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিল। এদিন বাবা বিষ্ণু দাসের সঙ্গে বাইকে চেপে বেলাকোবার কেবলপাড়া হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল অর্জুন। বৈকণ্ঠপুর ডিভিশনের মহারাজ ঘাট জঙ্গলে ওঠার আগে একটি হাতির সামনে পড়ে যান তারা। অর্জুন দাসের বাবা বিষ্ণু দাস প্রাণ বাঁচাতে বাইক থেকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু পালাতে পারেননি অর্জুন। বাইক থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করার সময় পড়ে যায় রাস্তায়। এরপর দাঁতালটি অর্জুনের দেহ পা দিয়ে চেপে দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। অর্জুন বারোপাটিয়া পাঁচিরামনাহাটা স্কুলের ছাত্র ছিল। হাতির হানায় যাতে আর কারোর প্রাণহানি না হয় সে বিষয়ে পুলিশ ও বনকর্মীদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।