নিজস্ব প্রতিনিধি: কল্যানী এইমস (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডি (CID)। এর আগে এই তদন্তে জেরা করা হয়েছিল বিজেপি (BJP) বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে। তবে সিআইডি আধিকারিকদের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করেননি মৈত্রী। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে কল্যানীর এইমসে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। সোমবার সিআইডির একটি দল ফের যায় বিজেপি বিধায়কের বাড়ি।
সোমবার বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের (MLA) বাড়িতে গিয়েছিল সিআইডি। এদিন ফের দ্বিতীয়বার জেরা করা হয় মৈত্রী দানাকে। সিআইডি সূত্রে দাবি, মৈত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে তথ্যে রয়েছে অনেক ফারাক। উল্লেখ্য, এইমস নিয়োগ তালিকায় মৈত্রীর নাম ছিল শেষের দিকে। প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২০। মৈত্রীর দাবি ছিল, তাঁর বাবা কখনও কল্যানী এইমসে যাননি। এদিকে সিআইডি আধিকারিকরা এদিন এইমসে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ের সঙ্গেই বিধায়ক এসেছিলেন এইমসে। আরও জানা গিয়েছে, বিধায়ক এসে দেখা করেছিলেন এইমসের এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে। সূত্রের খবর, মেয়েকে চাকরি দেওয়ার ‘সুপারিশ’ করেছিলেন বিধায়ক। এইমসের দাবি, ওই পদে নিয়োগ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষকে আগেই জেরা করেছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, প্রথমবারের প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে এদিনও করা হয়েছে জেরা। অভিযোগ, কল্যাণীর এইমসে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির ৪ নেতা করিয়েছেন নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ। অভিযোগের তির পদ্মশিবিরের ২ সাংসদ ও ২ বিধায়কের দিকে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ৮ জনের নাম। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। উল্লেখ্য, এই মামলায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী (MINISTER) ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার এবং রাণাঘাটের সাংসদ (MP) জগন্নাথ সরকারের। উল্লেখ্য, কল্যাণী এইমস নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কল্যাণী (KALYANI) থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এফআইআর করেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তি। এরপরেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।