নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রথম দিনেই হড়পাবানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের বাড়ি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। শুনেছিলেন, বাকিরা কী ভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন সে কথাও। দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে মৃতদের পরিবারের সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ওই মঞ্চ থেকেই উদ্ধারকারীদের ১ লক্ষ টাকা, শংসাপত্র এবং চাকরি দেন তিনি। তারপরে সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নোত্তরপর্বে বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীদের ‘আক্রমণ’ নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র ভাবান্বিত নন। বললেন, তাঁর সরকার দলমত নির্বিশেষে সকলের কথা ভাবে।
মঙ্গলবার একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অপজিশন আছে তাই বলবে’। আরও বলেন, ‘ওঁদের বলুন নিজেদের চরকায় তেল দিতে। আমাদের লোকেদের নিয়ে ভাববার দরকার নেই’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি এবং তাঁর সরকার সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা রাখে। এও বলেন, সরকার বা দলে কোনও গ্রেড হয় না। সকলেই সমান। এখানে কোনও বিভাজন নেই। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ‘দিদি, সরকার এবং দল জানে কী ভাবে কাজ করতে হয়। বিরোধীরা আক্রমণ করে তা দমিয়ে রাখতে পারবে না’। উত্তরের সবুজ শিবিরের আরও দাবি, বিরোধীদের কন্ঠরোধের রাজনীতি এই সরকার করে না।
উল্লেখ্য, মালবাজারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের হাতে আগেই তুলে দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা করে। প্রসঙ্গত, মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, চাকরি বা টাকা শোককে কমিয়ে দিতে পারে না। তবুও বেঁচে থাকার জন্য প্রাথমিক কিছু জিনিস প্রয়োজন হয়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এই সাহায্য।
তাঁর সফর এখনও ২ দিন বাকি। জানা গিয়েছে, সফরের তৃতীয় দিনে নিউ জলপাইগুড়ির কাউয়াখালি মাঠে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর চতুর্থ ও শেষ দিনে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি রওনা দেবেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আবারও ফিরবেন নবান্নে।