নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুরে শিল্প (INDUSTRY) আর কৃষি (AGRICULTURE) এগোচ্ছে একসঙ্গে। এভাবেই এগিয়ে চলবেও। সিঙ্গুরে এসে এমনই বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। এদিন কামারকুন্ডু ফ্লাইওভারের ভার্চুয়াল উদ্বোধনও করেন তিনি। বলেন, সিঙ্গুরে গড়ে উঠছে একগুচ্ছ কারখানা। এদিন সন্তোষী মাতার মন্দিরে পুজোও দেন তিনি।
এদিন সিঙ্গুরে এসে তিনি বলেন কোচ ফ্যাক্টরি, অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি সহ একাধিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে সিঙ্গুরে। এও বলেন, কোচ ফ্যাক্টরি উদ্বোধনেও আসবেন তিনি। উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্তান মোটরস কারখানার কথাও এদিন উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ডানকুনিতে ফ্রেট করিডরের জন্য বাজেট প্রপোজাল করে দিয়েছিলেন তিনিই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডানকুনি থেকে বর্ধমান হয়ে চলবে ইন্ডাস্ট্রি। তিনি বলেন, তৈরি হবে ডেডিকেটেড রেল লাইন। শিল্প ও কৃষি একই সঙ্গে এগিয়ে চলবে দৃঢ় কন্ঠে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বলেন, পরবর্তীকালে এখানে কোটি টাকার ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।
গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন ভাবানীপুরের কাঁসারিপাড়ায় শীতলা মন্দিরের পুজো উদ্বোধনে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, কৃষকরা ন্যায়বিচার পেলে তিনি সন্তোষী মায়ের মন্দির গড়ে দেবেন বলে মানত করেছিলেন। কৃষকদের জন্য অনশন করার সময় তিনি সন্তোষী মায়ের ব্রত করেছিলেন বলেও জানান। তারপরে বলেন, কৃষকরা ন্যায় বিচার পেয়েছে। তিনি সন্তোষী দেবীর মন্দির গড়েও দিয়েছেন। সিঙ্গুর গিয়ে সেই মন্দির দর্শন করলেন তিনি। দিলেন পুজোও।
এদিন তিনি কামারকুন্ডু ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই ফ্লাইওভারের। তারপর তিনি হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বারবার তিনি রেলমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, দ্রুত ফ্লাইওভার গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ছিল গড়িমসির অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই কেন্দ্র ও রেলমন্ত্রকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন করেছিলেন বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীও। সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন জেলার বহু মানুষ। অবশেষে জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন হল সেই বহু কাঙ্খিত ফ্লাইওভারের। উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই।