নিজস্ব প্রতিনিধি: চেন্নাই সফরের আগে বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। সেখানেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আওতায় থাকা এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে। দিলেন কড়া বার্তাও।
এদিন উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই এলাকায় বারবার খুনের ঘটনা ঘটছে। এই ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা নিয়ে বিশেষ সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দেন, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার। বুধবার বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকাকে।
সম্প্রতি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে বারবার উঠে এসেছে খুন, জখম, গুলি ও বোমাবাজির খবর। এমনকি অপরাধের তালিকায় রয়েছে নাবালকের নামও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি, শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক। জনজীবন সুরক্ষিত হোক। অন্যদিকে, চাষিদের জমির ক্ষতিপূরণের জন্যও এদিন মানবিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, শ্রম মেলায় খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশি করে যুক্ত করতে বলা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনও প্রকল্প চালু করার আগে তা জানাতে হবে তাঁর দফতরে।
উল্লেখ্য, এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী ও আমলাদের সতর্ক করে বলেন, রাজ্যে অশান্তির ছক কষা হচ্ছে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এই ‘ছক’ কষছে ‘ওরা’। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, দাঙ্গা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তীক্ষ্ণ নজরদারির। সূত্রের খবর বাড়তে চলেছে নাকা চেকিং।
প্রসঙ্গত, বিজেপি বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ‘ডিসেম্বরে দেখানো হবে’। বারবার এই হুমকি শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। প্রশ্ন উঠছে, কীসের ইঙ্গিত?
আরও পড়ুন: গুজরাটে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী