নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: ফের ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২৯ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে হওয়া জনসভায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বহু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চেপে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামের মাটিতে পা রাখবেন। এরপর বুধবার রাত্রে রাত্রিযাপন করবেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তার আগেই প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ঝাড়গ্রাম শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
লাগানো হয়েছে সিসি টিভি (CCTV)ক্যামেরা। সমস্ত আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব চলছে। সব ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন থাকবেন জেলায়। প্রচুর প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরুলিয়ার পর ঝাড়গ্রাম থেকে বিশেষ বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে,ভোটের আগে জঙ্গলমহলে সরকারের সাথে না থাকার হুঁশিয়ারি মুন্ডা সমাজের।লোকসভ ভোটের আগে জঙ্গলমহলে ভোট বয়কটের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে এই আদিবাসী সমাজ।ঝাড়গ্রাম লোকসভায় আদিবাসী সমাজে সংখ্যা গরিষ্ট । অথচ তারা সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন কি মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ডেকেও তাদের বঞ্চনা করা হয়েছে বলে আভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল তাদের স্পষ্ট বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সমান গুরুত্ব দেন।
বুধবার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা হুঁশিয়ারি দেন লোকসভা ভোটে তারা ভোট দানে বিরত থাকবেন।তাদের অভিযোগ ভোট বৈতরণী পার করতে বার বার মুন্ডা দের ব্যাবহার করা হয়েছে। মুন্ডাদের নামাঙ্কিত সভায় ডেকে তাদের গুরুত্ত্ব না দিয়ে অন্য সম্প্রদায়কে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের নামে কোনো বোর্ড গঠন হয়নি। এমনকি নবান্নে তাদের ডেকে পাঠিয়ে শুধু মুন্ডাদেরকে আর্থিক সহায়তা থেকে বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ঘোষনা হয়েছে।অভিযোগ শুধু রাজনৈতিক সভাস্থল ভরাতে তাদের ব্যাবহার করা হয়। কোনো জনপ্রতিনিধি তাদের সম্প্রদায় নিয়ে ভাবে না। এবার যদি তাদের কথা না ভাবে সরকার তাহলে তার বয়কটের রাস্তায় যেতে বাধ্য হবে।