নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী-স্ত্রীর(Couple) রহস্যমৃত্যু(Mysterious Death)। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। কিন্তু কী কারণে এই মৃত্যু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার জলঙ্গি থানার(Jalangi PS) ফরিদপুর কলিকাহারা এলাকা। মৃতরা হলেন আলমগীর শেখ(২৫) ও জলি খাতুন (২১)। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। একটা সন্তানও হয়, যদিও সে বাঁচেনি। তবে দম্পতির মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না বলেই খবর। তবে দম্পতির মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না বলেই খবর। তবে আলমগীর থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে বউয়ের সঙ্গে। এদিন সেখান থেকেই তাঁদের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। জলির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং আলমগীরের দেহ মেলে মেঝেতে। জলির মা-ই প্রথমে বাড়ির জানলার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখেন জামাইয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে আর ঘরে ঝুলছে মেয়ের দেহ। তাই দেখে চিৎকার করে পাড়ার লোককে ডাকেন তিনি। আসে পুলিশও। দুটি দেহই তাঁরা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। বিগত কয়েক বছরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে, এমনটা কখনই মনে করতে পারেন না তাঁরা। তেমন কোনও অশান্তি ছিল না। হঠাৎ কীভাবে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাত সকালে ও দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক এলাকাবাসী। এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই কথা হত। বাড়িতেও যেতাম। ওরা কজাকর্ম করত, সংসারেও কোনও অশান্তি ছিল না। তারপরও কেন এরকম করল ওরা, জানি না।’ মৃত জলির বাবা আজবার আলি জানান, মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদও জামাইয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তবে বুধবার বেলা পর্যন্ত জামাই-মেয়ের সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। তাই চিন্তা হওয়ায় স্ত্রীকে দেখতে বলেন। তিনি গ্রিলের ফাঁকা দিয়ে দেখেন, জামাইয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। ঝুলছে মেয়ের দেহ। তাই দেখে চিৎকার করে পাড়ার লোককে ডাকেন তিনি।
মৃত যুবকের বাবা খালেক শেখ জানান, ছেলে বউ পৃথক বাড়িতে থাকলেও তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। দম্পতির মধ্যেও কোনও ঝামেলা ছিল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও তাঁদের কথা হয়েছে। মাঝে ঠিক কী হল, যার জন্য এই ভয়ংকর সিদ্ধান্ত, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। জানা গিয়েছে, আলমগীরের দেহ মেঝেতে পড়ে থাকলেও তাঁর গলায় রয়েছে ফাঁসের চিহ্ন, যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টা খানিকটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। খুন নাকি আত্মহত্যা সেটাই খতিয়ে দেখবে পুলিশ।